বিতর্কিত মাংস ব্যবসায়ী মইন কুরেশির সঙ্গে ‘ব্ল্যাকবেরি মেসে়ঞ্জার’-এ তাঁর কথোপকথন ব্যক্তিগত বলে দাবি করলেন প্রাক্তন সিবিআই প্রধান এ পি সিংহ। তাঁর দাবি, সিবিআইয়ের কোনও তদন্ত নিয়ে মইনের সঙ্গে কখনও কথা বলেননি।
মইন কুরেশির কাছ থেকে সুবিধে নেওয়ার অভিযোগে গত কাল এ পি সিংহের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে সিবিআই। রঞ্জিত সিন্হার পরে ওই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আর এক প্রাক্তন প্রধানের বিরুদ্ধে এমন তদন্তে প্রশ্ন উঠেছে সিবিআইয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে। হায়দরাবাদের ব্যবসায়ী প্রদীপ কোনেরুর বাবা ও ভাইয়ের জামিনের ব্যবস্থা করতে মইন এ পি সিংহের সাহায্য চেয়েছিলেন বলে দাবি গোয়েন্দাদের।
মইন যে তাঁর ‘বন্ধু’, তা অস্বীকার করেননি এ পি সিংহ। তাঁর সঙ্গে ওই ব্যবসায়ী যে ‘ব্ল্যাকবেরি মেসেঞ্জার’-এ প্রচুর কথাবার্তা বলেছেন তাও মেনে নিচ্ছেন তিনি। কিন্তু প্রাক্তন সিবিআই প্রধানের দাবি, সেই কথাবার্তা একান্তই ব্যক্তিগত। তার সঙ্গে সিবিআই তদন্তের কোনও যোগ নেই। এ পি সিংহের কথায়, ‘‘এই কথোপকথন অনেক আগেই প্রকাশিত হয়েছে। আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে সিবিআইয়ের অভিযোগের জবাব দেব।’’ সিবিআই সূত্রের অবশ্য দাবি, প্রাক্তন প্রধান ঠিক কথা বলছেন না। আর এক গোয়েন্দা সংস্থা ইডি-র অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে। ইডি-র প্রধান কার্নেল সিংহ ও সহকারী অধিকর্তা অরুণ কুমার তাঁদের অভিযোগের সঙ্গে ২২টি ব্ল্যাকবেরি-বার্তার তালিকা দিয়েছেন। তার মধ্যে একটিতে এক ‘পারিবারিক বন্ধু’-র মামলার জন্য এ পি-র সাহায্য চেয়েছেন মইন। জবাবে এ পি সিংহ জানিয়েছেন, ওই মামলায় চার্জশিট হয়ে গিয়েছে। এখন রেহাই পেতে কোর্টের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া গতি নেই।
সিবিআই সূত্রের খবর, মইন একাধিক শীর্ষ আমলার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেন বলে জানিয়েছিল ইডি। তবে সেই শীর্ষ আমলারা কারা, তা তাদের অভিযোগে উল্লেখ করা নেই। মইন ও এ পি-র মধ্যে কী কী বিষয়ে নির্দিষ্ট লেনদেন হয়েছে, তা-ও ইডি জানায়নি।