ইশরাত মামলায় বানজারাকে মুক্তি

২০০৪ সালে আমদাবাদের কাছে কোটারপুরে ১৯ বছর বয়সি ইশরাত এবং আরও তিন জনকে লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি সন্দেহে গুলি করে মারে গুজরাত পুলিশ। তাদের দাবি ছিল, ওই জঙ্গিরা গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যার ছক কষেছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৯ ০২:৫৯
Share:

ইশরাত জাহান ‘ভুয়ো’ সংঘর্ষ কাণ্ডে গুজরাত সরকারের প্রাক্তন পুলিশ অফিসার ডি জি বানজারা ও এন কে আমিনের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিয়ে তাঁদের মুক্তি দিল বিশেষ সিবিআই আদালত।

Advertisement

২০০৪ সালে আমদাবাদের কাছে কোটারপুরে ১৯ বছর বয়সি ইশরাত এবং আরও তিন জনকে লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি সন্দেহে গুলি করে মারে গুজরাত পুলিশ। তাদের দাবি ছিল, ওই জঙ্গিরা গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যার ছক কষেছিল। তবে পুলিশ এই দাবি করলেও গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ভুয়ো সংঘর্ষের অভিযোগ ওঠে। আমদাবাদের তৎকালীন ডিসিবি বানজারার মতো পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, অবৈধ ভাবে আটক ও খুনের অভিযোগ আনে সিবিআই। তবে রাজ্য সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা চালানোর অনুমতি না দেওয়ায় বানজারার মতো অফিসারেরা মুক্তির জন্য আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন।

বিশেষ সিবিআই কোর্টের বিচারক জে কে পাণ্ড্য বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি যে হেতু রাজ্য সরকার দেয়নি, তাই তাঁদের মুক্তির আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে এঁদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের পরিস্থিতিতে থাকছে না আদালত। মামলাও তুলে নেওয়া হচ্ছে। সরকারি কাজ করার সময়ে কোনও ঘটনা ঘটলে কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারি অনুমতি প্রয়োজন। ইশরাতের মা শামিমা কায়সরের আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার বলেছেন, বানজারাদের আবেদনকে কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কারণ, তথ্যের ভিত্তিতে এটা হয়নি।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন