পি চিদম্বরম। — ফাইল চিত্র।
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে সিবিআই চার্জশিট দায়ের করার প্রায় চার মাস পরে তাঁকে কাঠগড়ায় তুলে অভিযুক্ত করার অনুমতি দিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। ফলে এয়ারসেল-ম্যাক্সিস মামলায় এ বার চাপের মুখে চিদম্বরম। আগামী শুনানি ১২ ডিসেম্বর। ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁকে বা তাঁর পুত্র কার্তিকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে আদালত নির্দেশ দিয়েছে।
সিবিআইয়ের অভিযোগ ছিল, অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন প্রভাব খাটিয়ে বেআইনি ভাবে এয়ারসেল সংস্থায় মালয়েশিয়ার ম্যাক্সিসকে লগ্নি করার ছাড়পত্র পাইয়ে দেন চিদম্বরম। বিনিময়ে তাঁর পুত্র কার্তি চিদম্বরমের সংস্থাকে ঘুষ দেওয়া হয়। চিদম্বরম জুলাইয়েই পাল্টা অভিযোগ করেন যে, সিবিআইকে চাপ দিয়ে তাঁর ও আমলাদের বিরুদ্ধে এই চার্জশিট দায়ের করানো হয়েছে।
আজ সকালে পাটিয়ালা হাউস কোর্টে গিয়ে সিবিআইয়ের সংশ্লিষ্ট অফিসার বলেন, তুষার মেটা (সলিসিটর জেনারেল) একটি অনুষ্ঠানে রয়েছেন। দুপুর দু’টোয় আসবেন। তখন মামলা শোনা হোক। বিচারক জানতে চান যে তাঁরা চিদম্বরমকে কাঠগড়ায় তোলার অনুমতি সরকারের কাছ থেকে পেয়েছেন কি না। এ-ও বলেন যে সিবিআই আজ অনুমতিপত্র দেখাতে না পারলে মামলা খারিজ করার নির্দেশ দেওয়া হবে। আর অপেক্ষা করা হবে না। এর পরে দুপুর ২টোয় অনুমতিপত্রটি আদালতে জমা করে সিবিআই। কিন্তু বিদেশি লগ্নি উন্নয়ন পর্ষদ যে এই মামলায় আরও পাঁচ আমলাকে অভিযুক্ত করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি এখনও সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি।
ইডি-ও আজ আদালতকে জানায়, এয়ারসেল মামলায় চিদম্বরমকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। কারণ, অক্টোবরে চার্জশিট পেশের পর তাদের কাছে চিদম্বরমের বিরুদ্ধে আরও ‘প্রামাণ্য’ নথি এসেছে। কার্তি এবং তাঁর সঙ্গীদের ইমেলের রেকর্ডও আছে। এয়ারসেল-ম্যাক্সিস কাণ্ডে গত ১৩ জুন চিদম্বরমের ছেলে কার্তির বিরুদ্ধে প্রথম চার্জশিট দায়ের করে ইডি। তাতে দাবি করা হয়, যারা এয়ারসেল-ম্যাক্সিস তছরুপ কাণ্ডে ১ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছিল, এমন দু’টি সংস্থার নিয়ন্ত্রণ ছিল কার্তির হাতে। পরে অতিরিক্ত চার্জশিটও দায়ের হয় তাঁর বিরুদ্ধে।