মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অরুণ জেটলি
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঞ্চে বিরোধীদের জমায়েতকে ‘চোরতন্ত্র’ বলে বিদেশ থেকেই কটাক্ষ করলেন নরেন্দ্র মোদীর সেনাপতি অরুণ জেটলি। আর রাহুল গাঁধী জানালেন, ব্রিটিশদের মতো নিজেকে ভারতের ‘লর্ড’ মনে করেন নরেন্দ্র মোদী। বিজেপির শরিক শিবসেনাও মোদীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানাল, একশোর নীচে নামবে তাঁর দল। মোদীর সামনে ‘বাঘিনি’র মতো লড়েছেন মমতা।
বিরোধীরা এখন যাঁকে ‘ব্লগমন্ত্রী’ বলে ডাকেন, চিকিৎসার জন্য আমেরিকায় থাকা অবস্থাতেই সেই জেটলি আজ এক ব্লগ লিখলেন। বিষয়, মমতার ধর্না। ইশারায় রাহুল গাঁধী থেকে মায়া-অখিলেশ, চন্দ্রবাবু থেকে কেজরীবাল— সকলের বিরুদ্ধেও কোনও না কোনও দুর্নীতি আর আর্থিক কেলেঙ্কারি আছে বলে দাবি করলেন। সঙ্গে বললেন, এই ‘ক্লেপটোক্র্যাট ক্লাব’ এখন দেশের ক্ষমতা কব্জা করতে চায়। বিজেপি নেতারা ব্যাখ্যা করে জানাচ্ছেন, ‘ক্লেপটোক্র্যাট ক্লাব’ হল এমন এক শাসক গোষ্ঠী, যাঁরা নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে দেশের সম্পদে কব্জা করতে চায়। এক কথায় যেটি ‘চোরতন্ত্র’।
রাহুল গাঁধীও পশ্চিমবঙ্গে সিবিআই বিতর্ক নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘সব প্রতিষ্ঠানের উপরে এখন নরেন্দ্র মোদীর কোপ পড়ছে। আমরা সরকারে ছিলাম, বিরোধী শিবিরেও আছি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে হাত দিই না। নরেন্দ্র মোদী দেশের থেকে বড় নন। কিন্তু ব্রিটিশদের মতো তিনিও নিজেকে ভারতের লর্ড মনে করেন।’’ সংসদে অমিত শাহকে জিজ্ঞাসা করা হয়, পশ্চিমবঙ্গের সিবিআই বিতর্ক নিয়ে কিছু বলবেন? তিনি বলেন, ‘‘রবিশঙ্কর প্রসাদ নিশ্চয়ই কিছু বলেছেন।’’
আরও পড়ুন: কলকাতার ধর্না তুলে মমতার ঘোষণা, এবার ২ দিনের ধর্না দিল্লিতে
শুধু রবিশঙ্কর নন, স্মৃতি ইরানিও পরে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেদের জয়ের কথা বলছেন। কিন্তু তিনি বুঝতে পারছেন না, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার ফলেই সুপ্রিম কোর্ট একটি নিরপেক্ষ স্থানে রাজীব কুমারকে দেখা করতে বলেছে। এতে উল্লসিত হওয়ার কী আছে?’’ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে আলোচনার জন্য সাধারণ সম্পাদকদের বৈঠক ডেকেছে বিজেপি।