প্রতীকী ছবি।
সিবিএসই বোর্ড আজ ফের দ্বাদশ শ্রেণির অর্থনীতির পরীক্ষাটি নেবে। গতকাল সাতসকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরকে ফোন করেন। নির্দেশ দেন, এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোখাই যেন প্রধান অগ্রাধিকার হয়। প্রধানমন্ত্রী সাফ জানান, তিনি কোনও রকম অভিযোগ শুনতে চান না।
অর্থনীতির পরীক্ষাটি হয়েছিল গত ২৬ মার্চ। এর পরে অভিযোগ ওঠে ফাঁস হয়েছে প্রশ্ন। এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পরে বাতিল করা হয় সে দিনের পরীক্ষা। সেই পরীক্ষাই আবার নেওয়া হচ্ছে কাল। জাভড়েকর বলেছেন, ‘‘আমরা সকলে চাইছি, আর যেন ভুলের পুনরাবৃত্তি না হয়। সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’
সরকারি সূত্রের খবর, ৪ হাজার কেন্দ্রে মোট ৬ লক্ষ ছাত্রছাত্রী এই পরীক্ষা দিচ্ছেন। প্রশ্ন ফাঁসের পরে নতুন পরীক্ষার সিদ্ধান্তের পর থেকেই একটি নজরদারি কমিটি গোটা বিষয়টি দেখছে। একটি সাব-কমিটিও গড়া হয়েছিল, যার কাজই ছিল ইন্টারনেটের সামাজিক মাধ্যমগুলির উপরে নজর রাখা। মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় যাতে সমস্যা না হয়, তার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলে আধাসেনা নিয়োগ করা হয়েছে। হটলাইন বসেছে জাভড়েকরের মন্ত্রকে। যাতে কোথাও সমস্যা হলেই খোদ মন্ত্রী সরাসরি জানতে পারেন।
দিল্লি পুলিশের অপরাধ শাখার বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) আজ প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে সাসপেন্ড হওয়া সিবিএসই আধিকারিক কে এস রাণাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। যে কেন্দ্র থেকে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল, রাণা তার দায়িত্বে ছিলেন। অভিযোগ, বাওয়ানার ওই স্কুলে পরীক্ষা শুরুর দেড় ঘণ্টা আগেই খাম খুলে হোয়াটসঅ্যাপ-এ প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এই ঘটনায় দুই শিক্ষক গ্রেফতার হয়েছেন আগেই।