সপ্তাহ তিনেক শান্ত ছিল সীমান্ত। শুক্রবার ফের সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠল পাকিস্তানি সেনা বাহিনীর বিরুদ্ধে।
ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, শুক্রবার সকাল ন’টা নাগাদ জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার বালাকোট সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতীয় ছাউনি লক্ষ করে গুলি চালানো শুরু করে পাক বাহিনী। জবাব দেয় ভারতও। টানা এক ঘণ্টা ধরে চলে গুলির লড়াই। বাদ পড়েননি সাধারণ মানুষও।
গুলি যুদ্ধে কোনও ভারতীয় জওয়ান বা সাধারণ নাগরিক হতাহত হননি বলে জানিয়েছে পুঞ্চ পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা। পাক সেনা অবশ্য দাবি করেছে, কোনও প্ররোচনা ছাড়াই নিকিয়াল সেক্টরে একটি স্কুলভ্যানকে লক্ষ করে গুলি চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। নিহত হয়েছেন এক সাধারণ নাগরিক। আহত চার স্কুল প়ড়ুয়া। এ দিনই ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার জে পি সিংহকে ডেকে পাঠিয়ে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামাবাদ। ভারতের এই সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দাও করেছে পাকিস্তান।
২৩ নভেম্বর শেষ বার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করেছিল পাক বাহিনী। দুই ভারতীয় জওয়ান আহত হন। তার এক দিন আগে, পাক সেনার হামলায় কুপওয়ারায় খুন হন তিন ভারতীয় জওয়ান। এক জনের দেহ ছিন্নভিন্ন করা ছিল।
তবে দু’দিন স্বাভাবিক থাকার পরে আজ ফের স্তব্ধ কাশ্মীরের জনজীবন। নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে সাধারণ কাশ্মীরির মৃত্যুর প্রতিবাদে উপত্যকায় আজ বন্ধ ডেকেছিলেন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা। এ দিন রাজধানী শ্রীনগর-সহ রাজ্যের অধিকাংশ এলাকার রাস্তাঘাট ছিল সুনসান। শ্রীনগরে দোকানপাট, বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল, খোলেনি পেট্রোল পাম্পও।