RAW agent Qualification

কাজের স্বার্থে বদলাতে হয় নাম, পরিচয়ও! দেশের সুরক্ষায় অগ্রণী ‘র’ এজেন্ট, গুপ্তচর হতে পারেন কারা?

‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং’ বা ‘র’ ভারতের অন্যতম গুপ্তচর সংস্থা। এই সংস্থায় এজেন্ট হিসাবে কাজ করতে পারেন কারা, কোন যোগ্যতায় তাঁরা হয়ে ওঠেন বিশেষজ্ঞ? রইল সুলুকসন্ধান।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:৪৬
Share:

ছবি: এআই।

গুপ্তচরের চাকরির প্রথম এবং শেষ কথা মন্ত্রগুপ্তি। আসল পরিচয় জানানো যায় না পরিবারকেও। নিযুক্ত ব্যক্তি আসলে কী কাজ করেন, তা জানতে পারেন না কেউ-ই। প্রয়োজনে পরিচয় বদলে বিদেশে কিংবা শত্রুদের সঙ্গেও থাকতে হতে পারে। বলিউডের বহু ছবিতে, ওয়েব সিরিজ়ে এই এজেন্টের কাহিনি দেখানো হয়েছে। ‘হিম্মত সিংহ’ বা ‘রাজি’-র মতো সিনেমাতে গুপ্তচরবৃত্তির ভালমন্দের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে। গল্প এবং উপন্যাসেও এই পেশার কাহিনি বেশ জনপ্রিয়। রোহমর্ষক এই কাজটি নিয়ে মানুষের আগ্রহও রয়েছে যথেষ্ট। অনেকেই ‘এজেন্ট’-এর জীবন কাটাতে আগ্রহী। এই পেশায় প্রবেশের পথে কেমন? কী ভাবে শুরু করবেন?

Advertisement

‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং’ (র) ভারতের অন্যতম গুপ্তচর সংস্থা। এই সংস্থাই বিভিন্ন বিষয়ে কাজের জন্য এজেন্ট নিয়োগ করে। সরকারি সংস্থা হওয়া সত্ত্বেও সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে ‘র’ এজেন্ট নিয়োগ করে না।

কারা আবেদন করতে পারেন?

Advertisement

২১ থেকে ৩৫ বছর বয়সি ব্যক্তিরাই ওই সংস্থায় যোগদানের সুযোগ পান। যে কোনও বিষয়ে তাঁদের স্নাতক হতে হবে। এর পাশাপাশি চিন, সৌদি আরব, রাশিয়া-র মতো দেশের স্থানীয় ভাষায় সাবলীল হওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়াও প্রার্থীদের ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (ইউপিএসসি), আর্মড ফোর্স, ইন্টালিজেন্স ব্যুরো-র নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

কী কী পরীক্ষায় পাশ করতে হয়?

ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস (আইএএস), ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস (আইপিএস), কিংবা ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিস (আইআরএস)-এর পরীক্ষায় যাঁরা ভাল ফলাফল করেন, তাঁরা এজেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হতে পারেন।

ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যাঁরা যুদ্ধ পরিকল্পনা, বুদ্ধিমত্তায় উৎকর্ষের পরিচয় দিতে পারেন, তাঁদেরও গুপ্তচর হিসাবে যোগদানের সুযোগ দেওয়া হয়। একই ভাবে ইন্টালিজেন্স ব্যুরো থেকেও ডেপুটেশনের মাধ্যমে এজেন্ট নিয়োগ করা হয়ে থাকে।

নিয়োগের পর প্রশিক্ষণ:

নির্বাচিত আধিকারিকেরা নিজ নিজ ক্ষেত্রে উৎকর্ষের পরিচয় দিলেও তাঁদের আলাদা করে ‘র’ প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। তাঁদের কোড ব্রেকিং, ক্রিপ্টোগ্রাফি (সঙ্কেত ব্যাখ্যা), সাইবার দুনিয়ায় নজরদারি, বিদেশনীতি নিয়ে পর্যালোচনা, বিদেশি ভাষায় সড়গড় হওয়া এবং গোপন মিশনের জন্য বিশেষ ভাবে প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। এ ছাড়াও অন্য দেশের গুপ্তচর সংস্থার কাজ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে হয়।

কী কী দক্ষতা প্রয়োজন?

শারীরিক ভাবে সক্ষম এবং দৃঢ় মানসিকতার প্রয়োজন। দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারা, গোপনে কাজ করতে পারা এবং তীক্ষ্ম বিশ্লেষণ ক্ষমতার প্রয়োজন।

কাজের ধরন:

আর পাঁচটি সাধারণ চাকরির থেকে অনেক আলাদা ‘র’ এজেন্টের কাজ। মূলত দেশের সুরক্ষার দায়িত্বও এবং গোপনীয়তা বজায় রাখার তাঁদের জীবনের লক্ষ্য। তাই যাঁরা নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে দেশের জন্য কাজ করতে চান, তাঁরাই এই পেশার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে পারেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement