শেষ অবধি তেলের বকেয়া রাজস্ব নিয়ে কেন্দ্রকে পাশে পেল অসম। তেল উত্পাদক রাজ্য হিসেবে অসমের যে পরিমাণ রাজস্ব পাওয়ার কথা রাজ্যকে তা দেয়নি তেল উত্পাদনকারী সংস্থাগুলি। এই একই রকম পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে গুজরাত সরকার ১০ হাজার কোটি টাকার বকেয়া রাজস্ব দাবি করেছে। উচ্চতম আদালতের রায়ের অপেক্ষা না করে কেন্দ্র ইতিমধ্যেই গুজরাতকে ৭৬৩ কোটি টাকা দিয়েছে। আগামী ছ’ মাসে আরও ৮০০ কোটি টাকা গুজরাতকে দেওয়া হবে বলে ঘোষণাও করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই একই নিয়মে, অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈও ২০০৮ সাল থেকে তেল-রাজস্ব বাবদ রাজ্যের বকেয়া ১০ হাজার কোটি টাকা দাবি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপিও দেন তিনি।
কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান প্রথম বার অসম সফরে এসে আজ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে বিশদে কথা বলেন। পরে তিনি জানান, ‘‘এই বিষয়ে আমরা নীতিগত ভাবে রাজ্যের সঙ্গে একমত। আইন মেনে কী উপায়ে দ্রুত রাজ্যের এই বকেয়া তেল-রাজস্ব মিটিয়ে দেওয়া যায় তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। পরিকল্পনা। তাঁর কথায়, ‘‘আগের সরকার তেলের রয়্যালটি দেওয়ার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে বঞ্চনা করেছে। বিজেপি সরকার তা হতে দেবে না। রাজ্য তার ন্যায্য পাওনা পাবেই। পাশাপাশি, তেল সংস্থাগুলি সামাজিক উন্নয়নের খাতে যে ২ শতাংশ টাকা খরচ করে তা আরও বাড়ানো যায় কিনা সে ব্যাপারেও আমরা আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছি।
ধর্মেন্দ্র জানান, ‘‘রাজ্যের তেল উত্পাদনকারী সংস্থা ও শোধনাগারগুলির সমস্যা ও সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে চার দিন অসমে ঘুরছি। কোনও পেট্রোলিয়ম মন্ত্রী অসমে এক সঙ্গে এতদিন কাটাননি। আমি সব সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি ও ৩ মাসের মধ্যে উত্তর-পূর্বের তৈলক্ষেত্রগুলির বিকাশে ‘ভিসন ডকুমেন্ট’ তৈরি করতে বলেছি।’’