মহার্ঘ ভাতা বাড়ার আভাস মিললেও খুশি নয় কর্মী সংগঠনগুলি। (প্রতীকী ছবি)
আবার বাড়ছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ)। ২ শতাংশ ভাতা বাড়তে পারে বলে কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রের খবর। প্রায় ৫০ লক্ষ সরকারি কর্মী এবং ৫৮ লক্ষের মতো পেনশনভোগী এই সুবিধা পাবেন। তবে কর্মী সংগঠনগুলি মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির এই হারে খুশি নয়। মূল্যবৃদ্ধি যেখানে পৌঁছেছে, তাতে ভাতা আরও বাড়া উচিত ছিল বলে কর্মী সংগঠনগুলির দাবি।
মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব থেকে কর্মীদের রক্ষা করতেই মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এ বার যে মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করতে চলেছে বলে শোনা যাচ্ছে, মূল্যবৃদ্ধির হারের সঙ্গে তার সামঞ্জস্য নেই বলে কনফেডারেশন অব সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ-এর দাবি। কনফেডারেশনের সভাপতি কেকেএন কুট্টি বলেছেন, ‘‘২ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়তে চলেছে। ২০১৭-র ১ জানুয়ারি থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী হবে।’’ কিন্তু বৃদ্ধির এই হারে অসন্তোষ প্রকাশ করে কুট্টির মন্তব্য, বাস্তবের সঙ্গে এই বৃদ্ধির হারের কোনও সামঞ্জস্য নেই।
কেন্দ্রীয় সরকার খুচরো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির যে হিসেব কষেছে, তার চেয়ে মৃল্যবৃদ্ধির হার অনেক বেশি, বলছেন কর্মী সংগঠনগুলির নেতারা। (প্রতীকী ছবি)
খুচরো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ১২ মাসের গড় হিসেবের উপর ভিত্তি করেই মহার্ঘ ভাতা বাড়ায় সরকার। শ্রম ব্যুরো এবং কৃষি মন্ত্রক দ্বারা সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতেই মূল্যবৃদ্ধির এই গড় হার নির্ধারিত হয়। কেকেএন কুট্টির দাবি, শ্রম ব্যুরো এবং কৃষি মন্ত্রক সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি। খুচরো পণ্যের গড় মূল্যবৃদ্ধির হার দেখানো হয়েছে ৪.৯৫ শতাংশ। কিন্তু আসলে এই হার আরও বেশি বলে তাঁর দাবি।
আরও পড়ুন: বারাণসীই কুরুক্ষেত্র: মন্দিরে মন্দিরে মোদী, পথে রাহুল-অখিলেশ-মায়া
কর্মী সংগঠনগুলি বলছে, মূল্যবৃদ্ধির যে হিসেব সরকার দিচ্ছে, তাও যদি মেনে নেওয়া হয়, সে ক্ষেত্রেও মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির হার আরও বেশি হওয়া উচিত। ২০১৬-র ১ জুলাই থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা ২ শতাংশ বেড়েছিল। এ বার আরও ২ শতাংশ বৃদ্ধির কথা কেন্দ্র ঘোষণা করতে চলেছে বলে খবর। সে ক্ষেত্রে মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির মোট পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৪ শতাংশ। কর্মী সংগঠনগুলির দাবি, সরকার মূল্যবৃদ্ধির হারের যে হিসেব দিচ্ছে, তার সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে হলেও মহার্ঘ ভাতা অন্তত ৪.৯৫ শতাংশ বাড়ানো জরুরি ছিল।