অশান্ত কাশ্মীরে ফের অভিযানের ভাবনা

প্রধানমন্ত্রী ভেবেছিলেন সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করে কাশ্মীর সফরে গেলে উপত্যকায় ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। বরং জঙ্গিদের তৎপরতা আরও বেড়েছে। কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে রাজনাথকে অবিলম্বে মেহবুবার সঙ্গে কথা বলতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৮ ০২:২১
Share:

ছবি: এএফপি।

কাশ্মীরে রমজানের সংঘর্ষবিরতি এখন নরেন্দ্র মোদী সরকারের শাঁখের করাত। পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে, তাতে ফের অভিযান শুরুর কথাও ভাবতে হচ্ছে দিল্লিকে।

Advertisement

গত কালই জম্মু সীমান্তে পাক বাহিনীর হামলায় মারা যান বিএসএফের দুই জওয়ান। আজ নিহত এক জওয়ান সত্যনারায়ণ যাদবের মরদেহ উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ার বাড়িতে এলে এলাকা উত্তাল হয়ে ওঠে। দাবি ওঠে বদলা নেওয়ার। একই ছবি দেখা গিয়েছে ওই রাজ্যের আর এক জওয়ান ভি কে পাণ্ডের গ্রাম ফতেপুরেও। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, পাকিস্তান রেঞ্জার্সের ২১ নম্বর চেনাব রেঞ্জার্সের স্নাইপার বাহিনী ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। গত দশ দিনে জম্মু, কাঠুয়া ও সাম্বা সেক্টরে পাক বাহিনীর গুলিতে বিএসএফ ও সাধারণ মানুষ মিলিয়ে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।

গত কাল মাঝরাতে এই ঘটনার পরে তীব্র পাল্টা হামলা চালায় ভারত। তাতে পাকিস্তানের একাধিক বাঙ্কার নষ্ট হয়েছে বলে দাবি। প্রবল ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে পাকিস্তানের পক্ষে আজ সেক্টর কম্যান্ডার পর্যায়ে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যদিও বিএসএফের একাংশের দাবি, আলোচনা ছুতো। নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে ফের হামলা চালাতে চায় তারা।

Advertisement

পাল্টা জবাবের দাবি তুলেছে সঙ্ঘ পরিবারও। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আরএসএসের দাবি, এক তরফা সংঘর্ষবিরতি প্রত্যাহার করা উচিত। সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার দিনেই লস্কর-ই তইবা জানিয়েছিল তারা ওই প্রস্তাব মানছে না। উল্টে এই সুযোগে জঙ্গিরা নিজেদের গুছিয়ে নিচ্ছে বলে গোয়েন্দারা জানতে পারেন। তা ছাড়া সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার পরেও জঙ্গি হামলায় খামতি নেই। সোমবারেও পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া গ্রেনেডে শোপিয়ানে ১৬ জন জখম হয়েছে। সঙ্ঘ পরিবার বলছে, মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির মুখ চেয়ে ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছুই লাভ হল না। তবে মেহবুবা আজও বলেছেন, উপত্যকায় শান্তি ফেরাতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।

আরও পড়ুন: শিলংয়ে সেনা টহল, কার্ফুর মধ্যেই হিংসা

প্রধানমন্ত্রী ভেবেছিলেন সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করে কাশ্মীর সফরে গেলে উপত্যকায় ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। বরং জঙ্গিদের তৎপরতা আরও বেড়েছে। কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে রাজনাথকে অবিলম্বে মেহবুবার সঙ্গে কথা বলতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে রমজানের মধ্যেই সংঘর্ষবিরতি প্রত্যাহার করে নিতে পারে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ গঙ্গারাম আহির আজ সেই ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, ‘‘জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিরা একের পর এক হামলা চালাচ্ছে। সরকার এখন সংঘর্ষবিরতি তুলে নেওয়ার কথাও ভাবছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন