স্কুল স্তরে যৌন হেনস্থা রুখতে কৌশলী কেন্দ্র

একের পর এক শিশু যৌন নিগ্রহের ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রও। বিশেষত স্কুল স্তরে যে ভাবে যৌন নিগ্রহের ঘটনা বেড়ে চলেছে তা রুখতে কেবলমাত্র আইনি ব্যবস্থা যথেষ্ট নয় বলেই দাবি মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভোপাল ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:২৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

১২ বছর বা তার কম বয়সি শিশুদের যৌন হেনস্থা করলে সে ক্ষেত্রে অপরাধীদের প্রাণদণ্ড চায় মধ্যপ্রদেশ সরকার। সোমবার থেকে শুরু হতে চলেছে বিধানসভা অধিবেশন। সেখানে এমনই বিল পেশ করতে চাইছে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের মন্ত্রিসভা।

Advertisement

রবিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী জয়ন্ত মালাইয়া এমনটাই জানান। গণধর্ষণের ক্ষেত্রেও প্রাণদণ্ডের সাজা চায় এই সরকার। সাধারণ ধর্ষণের ক্ষেত্রেও সাজা ও জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো হবে বলেও প্রস্তাবে জানিয়েছেন মালাইয়া। তবে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি বহাল হলে ধর্ষকের হাতে নির্যাতিতার প্রাণ সংশয় হতে পারে, এমন দুশ্চিন্তাও প্রকাশ করেছেন অনেকে। তাই এই সিদ্ধান্ত পাকাপাকি ভাবে নেওয়ার আগে আরও কিছুটা সময় চান মুখ্যমন্ত্রী।

একের পর এক শিশু যৌন নিগ্রহের ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রও। বিশেষত স্কুল স্তরে যে ভাবে যৌন নিগ্রহের ঘটনা বেড়ে চলেছে তা রুখতে কেবলমাত্র আইনি ব্যবস্থা যথেষ্ট নয় বলেই দাবি মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের। বরং প্রয়োজন সচেতনতা। আর তার জন্যই বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে মিলে নতুন পন্থা বার করার কথা ভাবছে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক।

Advertisement

সম্প্রতি দিল্লির একটি স্কুলে এক চার বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তারই এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে। পেনসিল দিয়ে ওই নাবালিকার যৌনাঙ্গে আঘাতও করাহয় বলে অভিযোগ। স্কুল থেকে যন্ত্রণা নিয়ে বাড়ি ফিরেছিল বছর চারেকের শিশুটি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন ধর্ষণ করা হয়েছে শিশুটিকে। শিশুটির মা স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালে তারা পুরো বিষয়টিই উড়িয়ে দেন। এই ঘটনা সামনে আসার পরেই গভীর উদ্বেগে সরকার।

রবিবার মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট যে কেবলমাত্র আইন করে এই ধরনের প্রবণতা বন্ধ করা সম্ভব নয়। তাঁর দাবি, অনেক রকম নিয়ম ও নির্দেশিকা থাকা সত্ত্বেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেগুলির প্রয়োগ ঠিক মতো হচ্ছে না। দিল্লির ওই শিশুটির ক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষের অবস্থান নিয়েও দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছে মন্ত্রক। সাধারণ
ভাবে ‘ভাল স্পর্শ-খারাপ স্পর্শ’ বোঝাতে শিশুদেরর শিক্ষা দেওয়া হয় বটে। তবে এই ধরনের পরিস্থিতি সামলাতে তার বাইরেও আরও কিছু ভাবার প্রয়োজন রয়েছে। আর তার জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে সেই সিদ্ধান্ত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক করতে চায় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন