—প্রতীকী চিত্র।
শীতে গলব্যথা হলে ওষুধের দোকান থেকে অনেকেই নিমেসুলাইড জাতীয় ওষুধ কিনে খাচ্ছেন। কিন্তু তা কতটা নিরাপদ এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানী এবং চিকিৎসকদের একাংশ। এ বার সেই উদ্বেগে শামিল হল কেন্দ্রীয় সরকারও।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বুধবার ‘স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং প্রাপ্য নিরাপদ বিকল্পে’র প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ১০০ মিলিগ্রামের বেশি মাত্রার খাওয়ার উপযোগী নিমেসুলাইড ফর্মুলেশন উৎপাদন এবং বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১৯৪০ সালের ‘ওষুধ এবং প্রসাধনী আইন’ (ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক্স অ্যাক্ট) ২৬-এ অনুযায়ী গৃহীত এই পদক্ষেপ বুধবার থেকেই দেশব্যাপী কার্যকর হয়েছে।
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিমেসুলাইড জাতীয় ব্যথানাশক ওষুধ ধারাবাহিক ভাবে খেলে কিডনির গুরুতর সমস্যা হতে পারে। হৃদ্রোগের আশঙ্কা থেকে যায়। পেটে আলসার থাকলে, তার উপরেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা থাকে। বাজারে এর নিরাপদ বিকল্প রয়েছে। তাই গোটা বিষয়টি বিবেচনা করে ওষুধ বিষয়ক উপদেষ্টা সংস্থা ‘ড্রাগ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি বোর্ড’ জনস্বার্থে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন নিমেসুলাইড নিষিদ্ধ করার পরামর্শ দিয়েছিল। সেই পরামর্শ মেনেই পদক্ষেপ করা হয়েছে।