Abhishek Banerjee on India-US Trade Relations

ভারত-মার্কিন বাণিজ্যচুক্তি কোন পর্যায়ে দাঁড়িয়ে, এর ভবিষ্যৎই বা কী? লোকসভায় অভিষেকের প্রশ্নের জবাব দিল কেন্দ্র

প্রসঙ্গত, ভারতের উপরে ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে আপত্তি তুলে ২৭ অগস্ট থেকে আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২৫ ১৪:৫৯
Share:

ভারত-মার্কিন বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোধ্যায়ের প্রশ্নের জবাব কেন্দ্রের। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যচুক্তি কোন পর্যায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে? তার ভবিষ্যৎই বা কী? তা নিয়ে কেন্দ্রের কাছে জবাব চেয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা লোকসভার দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ছাড়াও ভারতের উপর আমেরিকার শুল্ক চাপানোর বিষয় নিয়ে কেন্দ্রের কাছে কয়েকটি প্রশ্ন রেখেছিলেন তিনি। এ বার সেই প্রশ্নের জবাব দিল বাণিজ্য মন্ত্রক।

Advertisement

অভিষেক জানতে চেয়েছিলেন, দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বিষয়ক আলোচনার বিষয়টি কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে? কত দিনের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে? এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জিতিন প্রসাদ জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের মার্চে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে পাঁচ দফায় আলোচনা হয়েছে।

অভিষেক আরও জানতে চেয়েছিলেন যে, আমেরিকার প্রস্তাবিত ২৫ শতাংশ শুল্কের জেরে দেশের রফতানি বাণিজ্যে কতটা প্রভাব পড়বে তার কি কোনও মূল্যায়ন করা হয়েছে? বিশেষ করে, বস্ত্র, ওষুধ এবং বৈদ্যুতিন ক্ষেত্রগুলিতে কতটা প্রভাব পড়বে? আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য সংক্রান্ত আলোচনার সময় শুল্ক অনিশ্চয়তা এবং বাণিজ্য সংক্রান্ত বাধা নিয়ে কি কোনও প্রশ্ন করা হয়েছিল? যদি না করা হয়ে থাকে, তার কারণও জানাক সরকার।

Advertisement

কেন্দ্রের জবাব, গত ৭ অগস্ট থেকে ভারতের রফতানি করা কয়েকটি দ্রব্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে আমেরিকা। ২৭ অগস্ট থেকে আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা রয়েছে। তবে ওষুধ এবং বৈদ্যুতিন ক্ষেত্রে কোনও অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়নি। কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, আমেরিকার এই শুল্ক আরোপের ফলে কতটা প্রভাব পড়ছে, তা জানার জন্য দেশের রফতানিকারকদের সঙ্গে আলোচনা চালানো হচ্ছে।

ভারতের উপর আমেরিকার শুল্ক চাপানোর প্রশ্নে কিছু দিন আগেই কেন্দ্রকে নিশানা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, আমেরিকা যে ভাবে ভারতের উপর শুল্ক চাপাচ্ছে, তাতে দেশের অর্থনীতির উপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। তার পরই অভিযোগ তুলেছিলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যনীতি এবং কূটনৈতিক ব্যর্থতার জন্যই এই পরিস্থিতি। তার পরই তিনি দু’দেশের বাণিজ্যচুক্তি এবং শুল্কের বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে কয়েকটি প্রশ্নের জবাব চান।

দিনকয়েক আগেই অভিষেক মন্তব্য করেছিলেন, এটি একটি কূটনৈতিক ব্যর্থতা। সরকারকে অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ভারতের উচিত শক্ত হাতে এর মোকাবিলা করা। প্রসঙ্গত, ভারতের উপরে ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে আপত্তি তুলে ২৭ অগস্ট থেকে আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা রয়েছে। তবে এত চাপের মুখে পড়েও যে ভারত মাথা নত করবে না, তা স্পষ্ট করেছে নয়াদিল্লি।

তবে লোকসভায় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধরি দাবি করেন, ভারতের রফতানিতে শুল্কের কতটা প্রভাব পড়বে, তা নির্ভর করে নানা বিষয়ে। তবে আমেরিকায় রফতানি হওয়া ৫৫ শতাংশ পণ্যের উপরে প্রভাবের কথা স্বীকার করেছেন তিনি।

ঘটনাচক্রে, সম্প্রতি ট্রাম্প জানিয়েছেন, শুল্ক সংক্রান্ত সমস্যা না মিটলে আলোচনা এগোবে না। পাঁচ দফার বৈঠক হয়ে গিয়েছে। ষষ্ঠ দফার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ট্রাম্পের এই ঘোষণায় সেই বৈঠক নিয়ে একটি প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement