টি এস ঠাকুর
বিচারপতি কে এম জোসেফের সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগে আপত্তি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হলেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুর। তাঁর মতে, এই ঘটনা দেখে মানুষের ধারণা হয়েছে কোনও বিচারপতি সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিলে তাঁকে ফল ভুগতে হবে। এটা বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের সামিল। সেইসঙ্গে বিচার বিভাগের উপরে মানুষের বিশ্বাসও কমে যেতে পারে।
সম্প্রতি আইনজীবী ইন্দু মলহোত্রর নিয়োগে সম্মতি দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। কিন্তু উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কে এম জোসেফের নাম ফের বিবেচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের কাছে ফেরত পাঠিয়েছে তারা। কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, হাইকোর্টের বিচারপতিদের মধ্যে অন্য অনেকেই বিচারপতি জোসেফের চেয়ে সিনিয়র। তাছাড়া বিচারপতি জোসেফ কেরলের বাসিন্দা। কেরালা হাইকোর্ট থেকে ইতিমধ্যেই এক জনকে সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে ছত্তীসগঢ়, কলকাতার মতো হাইকোর্টের কোনও প্রতিনিধি নেই।
তবে কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের দাবি, উত্তরাখণ্ডে রাষ্ট্রপতি শাসনের বিরুদ্ধে রায় দেওয়ার জন্যই বিচারপতি জোসেফকে ‘মূল্য’ দিতে হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম ফের বিচারপতি জোসেফের নাম সুপারিশ করলে অবশ্য কেন্দ্র তা মানতে বাধ্য। তবে সুপ্রিম কোর্টের শীর্ষ বিচারপতিদের নিয়ে গঠিত কলেজিয়ামের বৈঠক ফের কবে হবে তা এখনও জানা যায়নি।
প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ঠাকুরের বক্তব্য, ‘‘কলেজিয়াম কী সিদ্ধান্ত নেবে তা আমি জানি না। তবে এতে যে বিচার বিভাগ, বিশেষত হাইকোর্টের বিচারপতিদের উপরে বড় প্রভাব পড়বে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।’’ প্রধান বিচারপতি পদে থাকাকালীন বিচারপতির অভাব নিয়ে মোদী সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছিলেন ঠাকুর। বিচারপতিদের উপরে কাজের চাপ নিয়ে ম়ঞ্চে কেঁদেও ফেলেছিলেন তিনি। কলেজিয়ামের কাছে তাঁর আর্জি, ‘‘আপনারা বিচারপতি জোসেফের পাশে দাঁড়ান।’’