অহমদাবাদে ভেঙে পড়া এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ বিমান। —ফাইল চিত্র।
সুরক্ষাবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গত ছ’মাসে ন’বার কারণ দর্শানোর (শোকজ়) নোটিস ধরানো হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়াকে! সোমবার সংসদে এমনটাই জানাল কেন্দ্র। এই সময়ের মধ্যে মোট পাঁচ বার উড়ান সংস্থায় সুরক্ষাবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা চিহ্নিত হয়েছে। অহমদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়া বিপর্যয়ের পরে গত এক মাসে এই উড়ান সংস্থার একাধিক বিমানে বিপত্তি দেখা গিয়েছে। সোমবারও সকালে মুম্বই বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়েতে পিছলে গিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান। উড়ান সংস্থার পরিষেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের একাংশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান প্রশ্নের মাঝেই এই তথ্য জানাল কেন্দ্র।
অহমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার প্রসঙ্গে সোমবার রাজ্যসভায় প্রশ্ন করেন সিপিএম সাংসদ জন ব্রিট্টাস। এই সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করেন তিনি। বিমান দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে এখনও পর্যন্ত কী কী ধরা পড়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটির সুরক্ষার বিষয়ে গত ছ’মাসে যাত্রীদের তরফে বা ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন’ (ডিজিসিএ)-র তরফে কোনও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল কি না, তা জানতে চান বাম নেতা। বিমানের সুরক্ষা বা ওড়ার ক্ষমতা নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়াকে গত ছ’মাসে কোনও নোটিস পাঠানো হয়েছিল কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সাংসদের প্রশ্নের জবাবে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী মুরলীধর মোহল জানান, গত ছ’মাসে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটির বিষয়ে কোনও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার প্রবণতা দেখা যায়নি। তবে এই ছ’মাসে এয়ার ইন্ডিয়ায় পাঁচ বার সুরক্ষাবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনাগুলির জন্য উড়ান সংস্থাকে মোট ন’টি শোকজ় নোটিস পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে একটি ঘটনায় আইনানুগ পদক্ষেপও করা হয়েছে। তবে তদন্তে দুর্ঘটনার কোনও নির্দিষ্ট কারণ এখনও উঠে আসেনি বলেই জানান মোহল।
বিমান পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী জানান, তদন্তকারী সংস্থা এয়ারক্র্যাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি) গত ১২ জুলাই একটি প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তদন্তকারী সংস্থার ওয়েবসাইটেও সেটি রয়েছে। দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছে এএআইবি।