Ladakh Situation

হিংসা থামলেও থমথমে লাদাখ, চলছে ধরপাকড়! ‘বিশেষ দূত’ পাঠাল মোদী সরকার, দফায় দফায় বৈঠকে উপরাজ্যপালও

বুধবারের হিংসার ঘটনার পর পরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কার্ফু জারি করেন লাদাখের উপরাজ্যপাল। এখনও বলবৎ কার্ফু। প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেলের পরে কার্ফু তুলে নেওয়া হতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩:৫৯
Share:

লেহের রাস্তায় নিরাপত্তাকর্মীদের নজরদারি। ছবি: পিটিআই।

সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের আওতাভুক্ত করে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দিতে হবে লাদাখকে। এমনই দাবি জানিয়ে লাদাখের লেহতে বুধবার দিনভর বিক্ষোভ চললেও বৃহস্পতিবার থেকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়নি। শুক্রবার সকাল থেকে লেহ-সহ গোটা লাদাখের পরিস্থিতি থমথমে। আঁটসাঁট নিরাপত্তা। বুধবারের হিংসার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। শুধু তা-ই নয়, লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করছেন সেখানকার উপরাজ্যপাল কবীন্দ্র গুপ্ত। কেন্দ্রও লাদাখের পরিস্থিতি সামলাতে ‘বিশেষ দূত’ পাঠিয়েছে।

Advertisement

লেহতে বুধবারের হিংসার ঘটনার পর পরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কার্ফু জারি করেন লাদাখের উপরাজ্যপাল। এখনও বলবৎ কার্ফু। তবে প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেলের পরে কার্ফু তুলে নেওয়া হতে পারে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পাঠানো দল শুক্রবার সকাল থেকে দফায় দফায় লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছে বলে সূত্রের খবর। পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের কথায়, ‘‘লাদাখের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিস্থিতি এখনও সম্পূর্ণ শান্ত।’’

উল্লেখ্য, আগামী ৬ অক্টোবর লাদাখের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে কেন্দ্রের। তাই তার আগেই বুধবার লেহতে বিক্ষোভ দেখায় জনতা। অভিযোগ, বিজেপির পার্টি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। পার্টি অফিসের সামনে থাকা একটি পুলিশের গাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। লাঠিচার্জও করা হয়। আহত হন প্রায় ৮০ জন, যার মধ্যে ৪০ জন পুলিশকর্মীও রয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কার্ফু জারি হয়। শহর জুড়ে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়। সংঘর্ষে চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্তারা।

Advertisement

বুধবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানায়, দিনের প্রথমার্ধে ঘটে যাওয়া দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা বাদ দিলে লাদাখের পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বিকেল ৪টের পর থেকে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে সকলকে সমাজমাধ্যমে পুরনো এবং উস্কানিমূলক ভিডিয়ো প্রচার করা থেকেও বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। শুধু তা-ই নয়, বৃহস্পতিবারই অমিত শাহের মন্ত্রক ‘বিশেষ দূত’ পাঠিয়েছে লাদাখে।

অন্য দিকে, লেহতে ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। বুধবারের হিংসার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চিহ্নিত করে ধরা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৫০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বিভিন্ন সন্দেহভাজনের খোঁজে বাড়ি বাড়ি হানা দিচ্ছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement