দলীয় ভোটে ফের পরাজয় দিলীপ শিবিরের

তিন দিনের মাথায় সাংগঠনিক নির্বাচনে ফের হারল দিলীপ পালের শিবির। পুলক দাস আজ ভোটাভুটির মাধ্যমে শিলচর ব্লক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন। ৩৯-৫৭ ভোটে পরাস্ত হন দিলীপ শিবিরের প্রার্থী চম্পা চক্রবর্তী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলচর শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৬ ০৩:৩০
Share:

জঙ্গি বিস্ফোরণের আশঙ্কায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। মঙ্গলবার গুয়াহাটি রেলস্টেশনে। ছবি: পিটিআই।

তিন দিনের মাথায় সাংগঠনিক নির্বাচনে ফের হারল দিলীপ পালের শিবির। পুলক দাস আজ ভোটাভুটির মাধ্যমে শিলচর ব্লক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন। ৩৯-৫৭ ভোটে পরাস্ত হন দিলীপ শিবিরের প্রার্থী চম্পা চক্রবর্তী।

Advertisement

শিলচর বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে জিতে ১৭ মাসের বিধায়ক হিসেবে দিলীপবাবু ভোটের ব্যবধান বাড়িয়েছিলেন অনেকটাই। পুরস্কারস্বরূপ পান বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারের পদ। কিন্তু সংগঠনের নেতা-কর্মীদের কাছে নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারেননি। বরং একে-ওকে সন্দেহ করে নানা মন্তব্যের দরুন কাছের লোকেদেরও বিরোধী শিবিরে ঠেলে দিয়েছেন। তারই জেরে তিন দিন আগে বিজেপির শহর কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচিত হন তাঁর কট্টর বিরোধী হিসেবে পরিচিত দীপায়ন চক্রবর্তী। পছন্দের প্রার্থী গোপাল রায়কে জেতাতে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেও ব্যর্থ হন তিনি। সেখানে ৫৩-৫২ ভোটে ফলাফল নির্ধারণ হলেও এ দিন শুরু থেকেই দিলীপ শিবিরের পরাজয়ের ছবি স্পষ্ট ছিল।

নিজের আসনে দুই সভাপতির দু’জনই বিরোধী শিবির থেকে নির্বাচিত হওয়ায় জেলা সভাপতি নির্বাচনে রাজদীপ রায়ের গোষ্ঠী অনেকটা এগিয়ে গেল।

Advertisement

কাছাড় জেলা বিজেপি সভাপতি কৌশিক রাই বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া মেনে ভোটাভুটি হলে এক জন জিতবেন, বাকিরা হারবেন, এটাই স্বাভাবিক। দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন বলে তাতে কারও উৎফু্ল্ল বা হতাশ হওয়ার ব্যাপার নয়। ভোটের পর সবাই সংগঠনের জন্য একসঙ্গে কাজ করেন।’’ দিলীপবাবুর নামোল্লেখ না করে কৌশিকবাবু পরে বলেন, ‘‘মুশকিল হয়, কেউ নিজের প্রার্থী বলে প্রচারে নেমে পড়লে। তখন প্রার্থীর পরাজয়ে ওই নেতার নামও জড়িয়ে যায়।’’

তিনি জানান, ১৭ ব্লক কমিটির ১২টিতে এখনও পর্যন্ত নির্বাচন হয়েছে। ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে বাকি ৫টির সভাপতি নির্বাচন শেষ হচ্ছে। এর পরই হবে জেলা কমিটির সভাপতি নির্বাচন। তিনি নিজে যে এ বারও প্রার্থী হচ্ছেন, জানিয়ে রাখেন কৌশিকবাবু।

তাঁর বিরুদ্ধে দিলীপবাবুর শিবিরের প্রার্থী হতে পারেন শহর কমিটির প্রাক্তন সভাপতি শান্তনু নায়েক। তিনি নিজেও আজ ইঙ্গিতে সে কথা জানিয়ে রাখেন। শান্তনুবাবু অবশ্য গোপাল রায় ও চম্পা চক্রবর্তীর পরাজয়কে দিলীপবাবুর জনপ্রিয়তার সঙ্গে জড়াতে চান না। তিনি বলেন, এ সব অহেতুক কথা। দল বড় হচ্ছে। কেন্দ্র থেকে পুরসভা পর্যন্ত ক্ষমতায় বিজেপি। ফলে মতামত বাড়বে, ওই সব দলের ভিতরে রাখাই বাঞ্ছনীয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন