মধ্যপ্রদেশে ধৃত সেই ভুয়ো চিকিৎসক। ছবি: সংগৃহীত।
২০০৬ সালে ছত্তীসগঢ় বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার রাজেন্দ্রপ্রসাদ শুক্লের মৃত্যু হয়। বিলাসপুরের একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর পরই মৃত্যু হয় তাঁর। মধ্যপ্রদেশে সম্প্রতি এন জন ক্যাম নামে এক ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর হাতে ১৫ রোগীর অস্ত্রোপচার হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয় সাত জনের। এই ঘটনা মধ্যপ্রদেশে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। ঘটনাচক্রে, যে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, পুলিশের দাবি, সেই জন ক্যামই ২০০৬ সালে ছত্তীসগঢ়ের প্রাক্তন স্পিকারের অস্ত্রোপচার করেছিলেন।
মধ্যপ্রদেশে সাত রোগীর মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত এগোতেই ছাত্তীসগঢ়ের প্রাক্তন স্পিকারের মৃত্যুর বিষয়টি আবার উঠে এসেছে। তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, ঘটনাচক্রে দেখা গিয়েছে, ওই হাসপাতালে যে চিকিৎসক স্পিকারের অস্ত্রোপচার করেছিলেন, তিনিই মধ্যপ্রদেশে ধৃত সেই ভুয়ো চিকিৎসক। মধ্যপ্রদেশের দামো থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ভুয়ো চিকিৎসককে।
দিন কয়েক আগেই মধ্যপ্রদেশের দামোয় সাত রোগীর মৃত্যুতে হুলস্থুল পড়ে গিয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল এক ভুয়ো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। নাম ভাঁড়িয়ে তিনি হৃদ্যন্ত্রের অস্ত্রোপচার করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই অস্ত্রোপচারের ঘটনাতেই মৃত্যু হয় সাত রোগীর। তদন্তে নেমে উঠে আসে এন জন ক্যাম নামে এক চিকিৎসকের নাম। আদতে তিনি উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা। এক ব্রিটিশ চিকিৎসকের নাম ভাঁড়িয়ে তিনি হৃদ্যন্ত্রের অস্ত্রোপচার করছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত চিকিৎসকের আধার কার্ডে আসল নাম নরেন্দ্র বিক্রমাদিত্যা যাদব। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে এমবিবিএস, হৃদ্যন্ত্রের চিকিৎসা সংক্রান্ত একাধিক ডিগ্রি। যদিও পুলিশ দাবি করেছে, সেই সব ডিগ্রির কোনও সঠিক রেজিস্ট্রেশন নম্বরও নেই বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশে ১৫ জনের অস্ত্রোপচার করেছিলেন ওই চিকিৎসক। তাঁদের মধ্যে সাত জনের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। অস্ত্রোপচারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওই রোগীদের মৃত্যু হয়। দামোর মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) অভিষেক তিওয়ারি জানিয়েছেন, অভিযুক্ত চিকিৎসক নরেন্দ্র জন কেম ভুয়ো শংসাপত্র দাখিল করেছিলেন। কী ভাবে এত দিন ধরে ভুয়ো শংসাপত্র দাখিল করে চিকিৎসা করছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।