দরংয়ের কলঙ্ক ছড়াল গুয়াহাটিতে! দরং জেলা হাসপাতালের পর এ বার গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে রক্ত নিয়ে একটি শিশুর এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ উঠল।
২০১৫ সালের এপ্রিলে অগ্নিদগ্ধ হয় হাজোর বাসিন্দা সাড়ে তিন বছরের শিশুটি। টানা পাঁচ মাস গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিল সে। তার দেহের ৪০ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ ছিল। ওই সময়ে কয়েক বার তাকে রক্ত দিতে হয়। পরে জানা যায়, কোনও ভাবে শিশুটির দেহে হানা দিয়েছে ওই মারণ-রোগের জীবাণু।
তার বাবা-মায়ের দাবি, হাসপাতালে ৬ বার শিশুটিকে রক্ত দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের অভিযোগ, রোগের কথা প্রকাশ্যে আসার পর হাসপাতালের তরফে শিশুটির রক্ত-পরীক্ষার রিপোর্ট সরিয়ে ফেলার ছক কষা হয়েছিল। হাসপাতালের সুপার বাবুলকুমার বেজবরুয়ার বক্তব্য, রক্তের প্রতিটি নমুনা ও ব্যাগ নিয়ম মেনে পরীক্ষা করা হয়। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা তাঁর কাছে স্পষ্ট নয়। তিনি জানান, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে বাচ্চাটিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়। সাত মাসের মধ্যে শিশুটিকে হাসপাতালে আনা হয়নি। সেই সময় কোথাও তার কোনও চিকিৎসা হয়েছে কি না, কোথাও সে রক্ত নিয়েছে কি না বা তাকে কোনও ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে কি না— সে সব খতিয়ে দেখতে হবে।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, অস্ত্রোপচারের পরও বাচ্চাটির দেহে কয়েকটি ক্ষত ছিল। হাসপাতাল থেকে ফেরার পর সে কোনও এইচআইভি থাকা ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে থাকতে পারে। এ বছর এপ্রিলে তাকে ফের গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়।