—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
লাদাখ সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর নয়া রেলপ্রকল্পের কাজ শুরু করতে চলেছে চিন। জ়িনজ়িয়াং-তিব্বত নতুন এই রেললাইন তৈরিতে বেজিংয়ের তৎপরতা বাড়তে থাকায় নয়াদিল্লিও পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট-এর প্রতিবেদন বলছে, জ়িনজ়িয়াং থেকে তিব্বত পর্যন্ত নতুন রেললাইন পাতা হবে। যা জ়িনজ়িয়াংয়ের হোতানের সঙ্গে তিব্বতের লাসাকে জুড়বে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোর্স্ট-এর প্রতিবেদন বলছে, প্রস্তাবিত এই রেললাইন লাসা-শিগাৎসে রেললাইনকে হোতানের সঙ্গে জুড়বে। ফলে এই রেললাইন কৌশলগত ভাবে চিনের উত্তর-পশ্চিম ভাগের সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম ভাগকে জুড়বে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যে বিষয়টি, প্রস্তাবিত এই রেললাইন প্রকৃত সীমান্তরেখার কাছে দিয়ে যাবে। নতুন এই রেললাই সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৫০০ মিটার উচ্চতায় তৈরি হবে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোর্স্ট-এর প্রতিবেদন বলছে, ২০০৬ সালে লাসার সঙ্গে চিনের প্রথম রেল যোগাযোগ শুরু হয়। এ বার সেই রেলপথের সম্প্রসারণের কাজ শুরু করেছে চিন। তিব্বত পর্যন্ত সেই রেললাইন বিছানোর পরিকল্পনা করেছে তারা। যা আকসাই চিনের মধ্যে দিয়ে যাবে। প্রস্তাবিত এই রেলপ্রকল্প আকসাই চিন এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্ররেখার কাছ দিয়ে নিয়ে যাওয়ার ফলে ভারত-চিন সীমান্তে সামরিক অস্ত্র এবং সেনা মোতায়েনের বিষয়টি অনেকটাই মসৃণ হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মনে করা হচ্ছে, সেই কৌশলগত কারণেই এই রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ শুরু করছে চিন। এ বছরেই রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়ে যাবে।