লেহ্-ডিবিও নতুন সড়ক। ছবি: সংগৃহীত।
পশ্চিমে দৃশ্যমান পাক অধিকৃত গিলগিট-বালটিস্তানের কারাকোরাম পর্বতশ্রেণি। অদূরে ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা এলওসি)। তার মাঝেই সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬ হাজার ফুট উচ্চতায় রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানঘাঁটি দৌলত বেগ ওল্ডি (যা ‘ডিবিও’ নামে পরিচিত)। এ বার দ্রুত সেনা মোতায়েনের উদ্দেশ্যে সেখানে পৌঁছবার বিকল্প সড়ক তৈরি করছে নয়াদিল্লি।
২০২০ সালের জুন মাসে চিনের সঙ্গে সংঘর্ষের আবহে দৌলত বেগ ওল্ডিতে পৌঁছনোর বিকল্প পথ তৈরি শুরু করেছিল বর্ডার রোডস অর্গানাইজ়েশন (বিআরও)। নতুন রাস্তাটি লাদাখের রাজধানী লেহ্ থেকে দৌলত বেগ ওল্ডির দূরত্ব ৭৯ কিলোমিটার কমিয়ে আনবে। যাত্রার সময় দু’দিন থেকে কমে দাঁড়াবে মাত্র ১১-১২ ঘন্টা। বর্তমানে দারবুক-শিয়োক-ডিবিয়ো রাস্তাটি অনেক জায়গাতেই এলএসি ছুঁয়ে গিয়েছে। ফলে তা ঝুঁকিপূর্ণ বলেই মনে করে সেনা। নতুন রাস্তাটিতে চিনা নজরদারির বা ঝটিকা হামলার মতো ঝুঁকি থাকবে না। সেনা সূত্রের খবর, আগামী বছর থেকেই চালু হয়ে যাবে নতুন ওই পথ।
লেহ্-সাসোমা-সাসের লা-সাসের ব্রাংসা-গাপশান-ডিবিও ১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রুটটি ভারী সামরিক সরঞ্জাম পরিবহণেও উপযোগী হবে। প্রসঙ্গত, ১৯৬২ সালে ভারত-চিন যুদ্ধের সময় তৈরি করা হয়েছিল ডিবিও এয়ারস্ট্রিপ। দীর্ঘ চার দশক অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকার পরে ২০০৮ সালে আমূল সংস্কারের পর নতুন করে চালু করা হয়েছিল ওই বিমানঘাঁটি। ২০২০ সালে গালওয়ান পর্বের সময় এলএসিতে দ্রুত সেনা ও সমরাস্ত্র পাঠানোর ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছিল ডিবিও। এই এয়ারস্ট্রিপ বরবারই চিনের মাথাব্যথার কারণ। বেজিংয়ের আশঙ্কা, যুদ্ধ শুরু হলে এই এয়ারস্ট্রিপের মাধ্যমে সহজেই চিন-পাকিস্তান ইকনমিক করিডর (সিপেক)-এর উপর হামলা চালাতে পারবে ভারত।