India-China Relation

দলাই লামার উত্তরাধিকার এবং তিব্বত সংক্রান্ত বিষয়ে ফের ভারতকে চাপে রাখার কৌশল চিনের, কী বলল বেজিং?

রবিবার নয়াদিল্লির চিনা দূতাবাসের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ভারত-চিন সম্পর্কে ‘কাঁটা’ তিব্বত এবং দলাই লামার উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিষয়। দু’টি বিষয়কেই ‘অভ্যন্তরীণ’ বলে দাবি করেছে তারা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৫ ২১:১৪
Share:

দলাই লামা। —ফাইল চিত্র।

তিব্বত এবং দলাই লামার উত্তরাধিকার বাছাই নিয়ে ফের ভারতকে চাপে রাখার কৌশল নিল চিন। রবিবার নয়াদিল্লির চিনা দূতাবাসের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ভারত-চিন সম্পর্কে ‘কাঁটা’ তিব্বত এবং দলাই লামার উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিষয়। দু’টি বিষয়কেই ‘অভ্যন্তরীণ’ বলে দাবি করে চিনা দূতাবাসের দাবি, এগুলির সংবেদনশীলতার বিষয়ে বিদেশ দফতরের আধিকারিকদের অবহিত থাকা উচিত। বিদেশ দফতরের আধিকারিক বলতে আসলে ভারতের দিকেই চিন ইঙ্গিত করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

ভারতের চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র ইউ জিং সমাজমাধ্যমে লেখেন, “শি-ঝ্যাং (চিনের দেওয়া তিব্বতের নাম) সংক্রান্ত বিষয় চিন-ভারতে সম্পর্কের একটা কাঁটা। দলাই লামার উত্তরাধিকার নির্বাচন চিনের অভ্যন্তরীণ বিষয়।”

পঞ্চদশ দলাই লামা মনোনয়ন নিয়ে চিন এবং চতুর্দশ দলাই লামার মধ্যে চাপানউতোর চলছে। সম্প্রতি নিজের ৯০তম জন্মদিনের আগে দলাই লামা তাঁর উত্তরসূরি মনোনয়নের বার্তা দিয়েছেন। ভারতে স্বেচ্ছানির্বাসিত সর্বোচ্চ বৌদ্ধ ধর্মগুরু বলেন, ‘‘পরবর্তী দলাই লামার মনোনয়নের দায়িত্ব গাহদেন ফোড্রাং ট্রাস্টের। এই প্রক্রিয়ায় বাইরের কাউকেই হস্তক্ষেপ করতে দেওয়া হবে না।’’ যদিও চুপ থাকেনি চিনও। সে দিনই শি জিনপিংয়ের প্রশাসন জানায়, চিনের অনুমোদন ছাড়া দলাই লামার মনোনয়ন হবে না!

Advertisement

এই চাপানউতরের মধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, “উত্তরসূরি নির্বাচনের প্রক্রিয়া প্রচলিত নিয়ম মেনে এবং বর্তমান দলাই লামার ইচ্ছানুসারেই হবে। পরবর্তী দলাই লামা কে হবেন, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার অন্য কারও নেই।” তারই জবাব দিয়েছে চিনও। শুক্রবার রিজিজুর মন্তব্যের বিষয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং জানান, ভারতের উচিত চতুর্দশ দলাই লামার চিন-বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী স্বভাব সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা। তিব্বত সম্পর্কিত চিনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না-করাই ভাল বলে ভারতকে সতর্ক করে চিন।

চিনের ওই বিবৃতির পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছিল, কারও ধর্মীয় বিশ্বাস বা আচরণের বিষয়ে কথা বলে না ভারত। তবে এত কিছুর মধ্যেও গত ৬ জুলাই হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় দলাই লামার জন্মদিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রিজিজু এবং রাজীবরঞ্জন সিংহ। তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু দলাই লামাকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তবে দলাই লামাকে নিয়ে ভারতের এই সক্রিয়তা যে তারা ভাল ভাবে নিচ্ছে না, তা আগেও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছে বেজিং। এ বার এই বিষয়ে ভারতের উপর আরও চাপ বৃদ্ধির কৌশল নিল চিন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement