Indian Army

ডোকলামের স্মৃতি উস্কে ধাক্কাধাক্কি নাকু লা সীমান্তে

সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, নাকু লা সেক্টরে সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন করে এগোচ্ছিল চিন। শনিবার বিষয়টি চোখে পড়ার পরেই ভারতীয় সেনা রুখে দাঁড়ায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা ও শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২০ ০৪:৫৬
Share:

উত্তর সিকিমে ভারত ও চিনা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ।

তিন বছর আগে ডোকলামে সীমান্ত যখন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল, তখন আর যা-ই হোক, করোনা ছিল না। এ বার করোনার রক্তচক্ষুর মধ্যেই উত্তর-পূর্ব সীমান্তে চিনা ও ভারতীয় সেনার মধ্যে ফের মুখোমুখি সংঘর্ষ হল নাকু লা-য়। যা ডোকলাম-অশান্তির স্মৃতি উস্কে দিয়েছে। সেনা সূত্রের খবর, উত্তর সিকিমের নাকু লা সেক্টরে শনিবারের সংঘর্ষে দু’পক্ষেরই কয়েক জন আহত হয়েছেন। তবে স্থানীয় স্তরে আলোচনার পরে আপাতত বিবাদ মিটেছে এবং পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

Advertisement

সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, নাকু লা সেক্টরে সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন করে এগোচ্ছিল চিন। শনিবার বিষয়টি চোখে পড়ার পরেই ভারতীয় সেনা রুখে দাঁড়ায়। গোলাগুলি বা কামান থেকে গোলাবর্ষণের বদলে চিন এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। তাতে তিন জন ভারতীয় জওয়ান এবং চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির সাত জন সামান্য জখম হন। মুখোমুখি দাঁড়িয়ে পড়ে দুই সেনা। অন্তত ১৭৫ জন জওয়ান সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

সীমান্তে ভারত-চিন বিবাদ নতুন নয়। ২০১৭ সালের ১৬ জুন থেকে ২৮ অগস্ট ডোকলামে সীমান্ত বিবাদের জেরে দু’‌দেশের সেনাবাহিনী রীতিমতো রণসজ্জায় সেজে ৭৪ দিন মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছিল। শেষ পর্যন্ত কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তার পরে চিন সফর করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

অমীমাংসিত সীমান্ত এলাকায় রাস্তা তৈরির ছুতোয় চিন ভারতে ঢুকে পড়ায় ডোকলামে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। শনিবারের বিবাদের কারণ সেনাবাহিনীর তরফে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়নি। সীমান্তে আচমকা এমন গোলমাল নতুন নয়। ২০১৭ সালে লাদাখে প্যাঙ্গং লেকের ধারে দু’পক্ষ পাথর ছোড়াছুড়ি করেছিল। এ বারের গোলমাল নিয়ে সেনার বিবৃতি, সীমান্ত-সমস্যার জেরে নাকু লা-য় গোলমাল বাধে, তবে তা স্থায়ী হয় স্বল্প ক্ষণ। দু’পক্ষের আগ্রাসী মেজাজের দরুন উভয় বাহিনীর কয়েক জন কমবেশি চোট-আঘাত পান। স্থানীয় স্তরে আলোচনার পরে বিবাদ মিটেছে।

সেনা সূত্রের খবর, সিকিমে চিনের সঙ্গে সীমান্তের দৈর্ঘ্য প্রায় ২২০ কিলোমিটার। ১৯৬২ সালের যুদ্ধের পর থেকে নাথু-লা সীমান্ত বন্ধ ছিল। ২০০৬ সালে দু’‌দেশের সরকার তা চালু করে। সেনাবাহিনীর সুকনা সদর দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘করোনা নিয়ে আমরা সবাই লড়ছি। চিনও ভুগছে। গোটা বিশ্ব চিনকে নানা ভাবে দোষারোপও করছে। এই বিশেষ সময়ে ওই সব ছেড়ে সীমান্তে চিনের এগিয়ে আসার মনোভাব খুবই দুর্ভাগ্যজনক। চিনের সেনাবাহিনীকে সেটা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন