—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
স্কুল বিল্ডিংয়ের পাঁচতলা থেকে নীচে পড়ে মৃত্যু হল ষষ্ঠ শ্রেণির এক পড়ুয়ার! কী ভাবে সে পড়ল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। তবে প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যা করেছে ওই শিশুকন্যাটি। প্রশ্ন উঠছে, যদি আত্মহত্যাই করে থাকে সে, তবে তার নেপথ্যে কী কারণ। অভিভাবকদের একাংশের দাবি, স্কুলের শিক্ষকের ব্যবহারে মানসিক অবসাদে ভুগছিল ওই পড়ুয়া। তা হলে কি সেই অবসাদ থেকেই চরম পদক্ষেপ, ভাবাচ্ছে পুলিশকে।
ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের জয়পুরে। অন্য দিনের মতো শনিবারও স্কুলে গিয়েছিল অমৃতা। স্থানীয় এক বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনা করে সে। দুপুরের দিকে স্কুল বিল্ডিংয়ের নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্কুলে শোরগোল পড়ে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সংগ্রহ করা হয় স্কুলচত্বরের সব সিসিটিভি ফুটেজ। স্থানীয় এসএইচও লখন খানাতানা জানান, কী ভাবে ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হল, তা তদন্তের পরই স্পষ্ট হবে।
অভিভাবকদের একাংশের দাবি, বাচ্চাটি আত্মহত্যা করেছে। স্কুলের শিক্ষকের ব্যবহারে মানসিক অবসাদ থেকেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে সে। সেখানকার অভিভাবকদের সংগঠনের মুখপাত্র অভিষেক জৈনের কথায়, ‘‘আমরা অনেক পড়ুয়ার সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সঙ্গে কথা বলে বুঝেছি শিক্ষকের ব্যবহারে অবসাদে পাঁচতলা থেকে ঝাঁপ মেরেছে অমৃতা।’’ স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগও তুলেছেন অভিভাবকদের একাংশ। তাঁদের দাবি, সরকার বা স্কুল কর্তৃপক্ষ কেউই নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেন না।
পুলিশ আধিকারিক লখনের কথায়, ‘‘ঘটনাস্থলে গিয়েছে ফরেন্সিক দল। তারা ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে।’’ শিক্ষামন্ত্রী মদন দিলওয়ার বলেন, ‘‘কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখে জেলা শিক্ষা আধিকারিককে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছি। মনে হচ্ছে, ওই স্কুলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না, যা কর্তৃপক্ষের করা উচিত ছিল।’’