কিশ্তওয়াড়ে হড়পা বান। ছবি: পিটিআই।
উত্তরাখণ্ডের ধরালীর মতো এ বার জম্মু-কাশ্মীরের কিশ্তওয়াড়ে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে ভয়াবহ হড়পা বান নেমে এল। বৃহস্পতিবার দুপুরে চশোতী গ্রামের কাছে মচৈল মাতা মন্দিরের কাছে মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়। তার জেরে যে হড়পা বানের সৃষ্টি হয়েছে, তাতে অনেকে আটকে পড়েছেন। অন্তত ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ১০০ জনকে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। দুশো জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই দুর্যোগের খোঁজখবর নিয়েছেন। এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে তিনি জানিয়েছেন, পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। উদ্ধারকাজ চলছে। অন্য দিকে, মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে দুর্যোগ পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সমস্ত রকম সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চশোতী গ্রাম থেকে শুরু হয় ‘মচৈল মাতা যাত্রা’। সেই উপলক্ষে অনেক পুণ্যার্থী জড়ো হয়েছিলেন ওই গ্রামে। তাবুঁ খাটিয়ে তাঁরা আশ্রয় নিয়েছিলেন। হড়পা বানে সেই সব তাঁবু ভেসে গিয়েছে। ফলে অনেকের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কিশ্তওয়াড়ের ডেপুটি কমিশনার পঙ্কজ শর্মা জানিয়েছেন, চাসোতি গ্রামে হড়পা বান নেমে এসেছে। এই গ্রাম থেকে ‘মচৈল মাতা যাত্রা’ শুরু হয়। ঘটনার পর পরই উদ্ধারকারী দল ওই গ্রামে পৌঁছেছে। উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ ডেপুটি কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন।
স্থানীয় বিধায়ক সুনীল কুমার শর্মা জানিয়েছেন, বেশ কয়েক জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে প্রশাসনের তরফে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিন্হা পুলিশ, সেনা এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দলগুলিকে দ্রুত উদ্ধারকাজের নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ৫ অগস্ট উত্তরাখণ্ডের উত্তরাকাশীর ধরালী এবং হর্ষিল গ্রামে নেমে এসেছিল হড়পা বান। সেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে ধরালীর বেশির ভাগ অংশ পাথর, কাদার নীচে চাপা পড়ে গিয়েছে। উত্তরাখণ্ডের ঘটনায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে।