ওড়িশায় ফের অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু তরুণীর। —প্রতীকী চিত্র।
ওড়িশায় ফের অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক তরুণীর। বালেশ্বর, পুরীর পর এ বার ওড়িশার কেন্দ্রপড়া জেলায়। গত এক মাসের মধ্যে এই নিয়ে তৃতীয় বার এমন ঘটনা ঘটল। বুধবার বাড়ি থেকেই তাঁর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার সময় ওই কলেজছাত্রী বাড়িতে একাই ছিলেন। এটি দুর্ঘটনা, না কি ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে পরিবারের অভিযোগ, তরুণীর উপর মানসিক নির্যাতন চালাতেন তাঁর প্রেমিক।
পুলিশ সূত্রে খবর, গায়ে আগুন ধরার আগে ওই তরুণীর গায়ে কেরোসিন তেল পড়েছিল। ওই কেরোসিন তেল তিনি নিজেই নিজের গায়ে ঢেলেছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, ঘটনার খবর পেয়েছেন ওড়িশার ডিজিপিও। এ বিষয়ে কেন্দ্রপড়ার পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। পুলিশ সুপারকে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ডিজিপি।
এখনও পর্যন্ত ঘটনার কোনও তদন্ত শুরু না হলেও বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখছে পুলিশ। এটি কোনও নিছক দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। মৃতের বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে মানসিক নির্যাতন করতেন প্রেমিক। বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেওয়া হত বলেও অভিযোগ। এই অভিযোগগুলির সত্যতা যাচাই করে দেখছে পুলিশ।
এক মাসের মধ্যে এই নিয়ে তৃতীয় বার এমন ঘটনা ঘটল। প্রথমে ওড়িশার বালেশ্বরে কলেজের এক বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে ক্যাম্পাসেই নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন এক ছাত্রী। ৯৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় ভুবনেশ্বর এমসে মৃত্যু হয় তাঁর। এর পরে পুরীতে এক কিশোরীও অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। এক দল দুষ্কৃতী তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। যদিও পরে কিশোরী সেই বয়ান বদল করেছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে। দিল্লি এমসে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়। এ বার কেন্দ্রপড়ায় বাড়িতেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক তরুণীর।