এক মহিলাকে হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল কালীগঞ্জের বলেশ্বর গ্রাম ও সংলগ্ন এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, সুফিয়া বিবি নামে ওই মহিলার দুই ছেলে গ্রামে থাকলেও তিনি অন্য একটি বাড়িতে একাই থাকতেন। শীতলপাটি তৈরির জন্য এলাকায় তাঁর সুনাম ছিল। খুনের মোটিভ নিয়ে পুলিশ এখনও নিশ্চিত নয়। তবে মহিলার বাড়িতে চারটি খাওয়া চায়ের কাপ থেকে পুলিশের ধারণা, পরিচিত লোকজনই এই খুনের সঙ্গে জড়িত।
মহিলার এক ছেলে পেশায় আইনজীবী, অন্য জনের কালীগঞ্জ বাজারেই ব্যবসা। গ্রামে তাদের দু’টি বাড়ি। একটি বাড়িতে মা একাই থাকতেন। বাড়িটির চারদিকে জন। নৌকা করে ছাড়া সেখা যাওয়া সম্ভব নয়। তাঁর আইনজীবী-পুত্র তুতিউর রহমান পাটিকরের বক্তব্য, গত কাল রাত ১১টা নাগাদ তাঁরা দুই ভাই মায়ের খবর নিতে ওই বাড়িতে যান। ডাকাডাকি করেও সাড়া পাননি তাঁরা। শেষ পর্যন্ত পিছন দিকের একটি দরজা খোলা দেখে সেদিক দিয়েই দুই ভাই ভিতরে ঢুকে কাপড় ছাকা মৃতদেহটি দেখতে পান। পুলিশ জানিয়েছে, সম্ভবত শ্বাসরোধ করেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কানের দুল, গলার হার ছাড়াও ২৫টি মতো শীতলপাটিও উধাও বলে ছেলেরা পুলিশকে জানিয়েছে।
গত কাল রাতের ঘটনা ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকার মানুষ সেখানে ভিড় করেন। সুফিয়া বিবির আইনজীবী-পুত্রের বক্তব্য, মা সহজ প্রকৃতির লোক ছিলেন। তাঁকে কারা হত্যা করতে পারে তা তিনি ভেবে পাচ্ছেন না। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে। তবে পুলিশ সূত্র সব রকম সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখছেন। প্রশ্ন উঠেছে, অত রাত্রে গ্রামের দিকে সাধারণত মানুষ ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু বেশি রাত্রে দুই ছেলে মায়ের খোঁজ নিতে গেল কেন? স্বাভাবিক ভাবে ভাবলে, মায়ের খোঁজখবর তো দিনেই করা যায়। বিশেষত বাড়িটি যখন জলে ঘেরা। পুলিশ দুইপুত্রকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে।