ডিমা হাসাও জেলায় খাদ্য সুরক্ষার চাল বণ্টন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। এ নিয়ে খাদ্য ও অসামরিক বিভাগের সাব-ইন্সপেক্টর রূপম ডিব্রাগেডে ও জায়ন ল্যাম্প সোসাইটির চেয়ারম্যান বাবু ছেত্রীর দিকে আঙুল তুলল সারা ডিমাসা ছাত্র সংস্থা।
ছাত্র সংগঠনটির সভাপতি অরিপম বডো ও সম্পাদক উত্তম লাংথাসা জানিয়েছেন— সরকারি নির্দেশিকা না মেনে খাদ্য ও অসামরিক বিভাগের ওই অফিসার খাদ্য সুরক্ষার চাল খোলা বাজারে বিক্রি করছেন। তাঁদের দাবি, ১৪ নভেম্বর হাফলংয়ের পাশে বাগেটারে অবৈধ ভাবে চাল বিক্রি করার সময় রূপমবাবু ও বাবু ছেত্রীকে হাতে নাতে ধরেন ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। উত্তম লাংথাসা জানান, জায়ন গ্রামে সমবায় সমিতির ভবন এখনও তৈরি হয়নি। রূপমবাবু সেখানে একটি ভাড়াবাড়িতে খাদ্য সুরক্ষার চাল মজুত রেখেছেন। ওই চালই খোলা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছিল।
ছাত্র সংগঠনটির বক্তব্য, খাদ্য সুরক্ষার চাল দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারীদের প্রতি কিলোগ্রাম ৩ টাকা দরে বিক্রি করার কথা। তা না করে রূপমবাবু ওই চাল খোলা বাজারে বিক্রি করছিলেন। বাজার থেকে তা ৫ টাকা কিলোগ্রাম দরে কিনতে বাধ্য হচ্ছিলেন খাদ্য সুরক্ষার আওতায় থাকা নাগরিকরা।
মাইবাং মহকুমার ‘ফেয়ার প্রাইস অ্যাসোসিয়েশন’ জানায়, মাইবাংয়ে গণবণ্টন ব্যবস্থার অধীনে থাকা দোকানে খাদ্য সুরক্ষার চাল, কেরোসিন না দিয়ে রূপমবাবু সে সব খোলা বাজারে বিক্রি করে দিতেন। এ নিয়ে ওই সংস্থার তরফে রাজ্যের খাদ্য ও অসামরিক উপভোক্তা বিষয়ক দফতরে নালিশ জানিয়েছিল।
এর পরই উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের প্রধান সচিব রমেশ থাওসেনকে ওই অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দেন রাজ্যের খাদ্য ও অসামরিক উপভোক্তা বিষয়ক দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা। ডিমা হাসাও জেলার খাদ্য ও অসামরিক বিভাগের উপ-সঞ্চালক এইচ পেনা জানিয়েছেন, ১৪ নভেম্বর রূপমবাবু বাগেটারে খাদ্য সুরক্ষার চাল অবৈধ ভাবে বন্টন করেছেন। তাঁকে শো-কজ পাঠানো হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।