সার্কেল অফিসের তালা ভেঙ্গে ছ’টি ল্যাপটপ, ডাটাএন্ট্রি স্ক্যানার-সহ চার্জার হাতিয়ে নিয়ে গেল চোরেরা। ওই ল্যাপটপগুলিতে জাতীয় নাগরিক পঞ্জির কাজ চলছিল। পুলিশের অনুমান, বিশেষ উদ্দেশেই সেগুলি চুরি করা হয়েছে। চুরির ঘটনার তদন্ত করতে শুরু করেছেন ডিএসপি-সদর রণবীর শর্মা।
অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জির কাজ জোরগতিতে চলছে। করিমগঞ্জও ব্যতিক্রম নয়। জাতীয় নাগরিক পঞ্জিতে বেশ কিছু জাল কাগজপত্র জমা দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে এ নিয়ে করিমগঞ্জ সদর থানায় আভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। জাল নথি এনআরসিতে জমা দেওয়ায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে।
এরই মধ্যে গত কাল রাতে রামকৃষ্ণনগর সার্কেল অফিসের তালা ভেঙ্গে এনআরসির কাজে ব্যবহৃত কমপিউটার চুরি হয়ে গেল।। সার্কেল অফিসের গ্রিল ভেঙ্গে চোর ল্যাপটপ যে ঘরটিতে রাখা ছিল শুধুমাত্র সেখানেই ঢোকে। ফলে তদন্তকারী অফিসারদের ধারণা, চুরির সঙ্গে জড়িতরা সে বিষয়ে অবহিত না থাকলে অন্য ঘরগুলিতেও ঢুকত। চোরের দল এনআরসির কাজে ব্যবহার হওয়া ওই ল্যাপটপগুলি নিতেই এসেছিল। রামকৃষ্ণনগর সার্কেল অফিসের মূল প্রবেশ পথ থানার পাশ দিয়েই। ফলে থানা অতিক্রম করেই চোরকে ঢুকতে হয়েছে।
একাংশের মতে, সরষের মধ্যেই ভূত রয়েছে। তাই পুলিশ যদি সঠিক তদন্ত করে তাহলে ল্যাপটপগুলি উদ্ধার করা খুব একটা কঠিন হবে না। সদর ডিএসপির মতে, চুরির সঙ্গে সার্কেল অফিসের লোকও যুক্ত রয়েছে। পুলিশ তদন্তে সব কিছু বেরিয়ে পড়বে বলে তিনি আশা করেন। রামকৃষ্ণনগরের সার্কেল অফিসার অনুপ ব্রহ্ম সাংবাদিকদের জানান, বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে ল্যাপটপগুলি চুরি করা হলেও সেগুলিতে এনআরসির কোন ডাটা রাখা ছিল না। এমনকী সেগুলি চুরি হলেও জাতীয় নাগরিক পঞ্জির কাজ কোনভাবেই বাধাপ্রাপ্ত হবে না।