জেসিবি যন্ত্র দিয়ে যে ভাইয়ের দোকানঘরে হানা দিয়েছিল ভাইদের অন্য কয়েকজন, তাঁকেই গ্রেফতার করল পুলিশ!
দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিধায়ক আব্দুল আজিজ খানের পরিবারে ভাইয়ে ভাইয়ে গণ্ডগোল চরমে উঠেছিল। গত কাল তা প্রকাশ্য রাস্তায় নেমে এল। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ-সিআরপিএফ পর্যন্ত নামানো হয়। অভিযোগ বিধায়ক ভাই তার বিরুদ্ধে থাকা ভাই-বোনদের উপর অন্য ভাইদের দিয়ে আক্রমণ চালান। বিধায়ক নিজে গত কাল থেকেই পুরো বিষয়টি নিয়ে নীরব। কিন্তু প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, গsত কালের ঘটনার জেরে আজ নিলামবাজার পুলিশ বিধায়ক আব্দুল আজিজ খানের ছোট ভাই আজাদ খানকে গ্রেফতার করায়। প্রশ্ন, বিধায়কের ক্ষমতার বলেই কি আক্রান্তকেই পুলিশ গ্রেফতার করল?
গত কালের ঘটনার পর থেকেই পুলিশ আজাদকে থানায় আটকে রেখেছিল। আজ গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে আজাদের বক্তব্য, তিনি এফআইআরে বিধায়ক বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে মাদক চালানের আভিযোগ এনেছেন। সে কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করানো হয়েছে।
পৈতৃক সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিধায়ক আব্দুল আজিজ খান এবং তার ভাইদের মধ্যে চরম বিবাদ চলছিল। বিধানসভা নির্বাচনের সময় আজাদ খান তাঁর ভাইয়ের বিরোধিতা করেন বলেও পরিবার সূত্রে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ, তিনি কংগ্রেস প্রার্থী তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সিদ্দেক আহমদের সঙ্গে সে সময় সুসম্পর্ক রেখেছিলেন।
এ নিয়ে এআইইউডিএফ প্রার্থী আজিজ খানকে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীনও হতে হয়েছিল। কার্যত সেই সময় থেকেই ভাইয়ে ভাইয়ে বিরোধ ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। গত কাল তা সীমা ছাড়িয়ে যায়। নিলামবাজার স্টেশন রোডে থাকা সাদিক আহমদ খান, আজাদ খান এবং বিধায়কের বোন শাহানারা খানমের সম্পত্তির উপর আক্রমণ চালায় টুনু খান, রাজু খান-সহ অন্য ভাইরা। অভিযোগ সে সময় বিধায়ক নেপথ্যে থেকে আক্রমণ পরিচালনা করেন।
বিধায়ক অবশ্য আজও মুখ খোলেননি। করিমগঞ্জের আবর্ত ভবনে সাংবাদিকরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি দেখাও করেননি। তবে বিধায়কের ভাইদের মধ্যে মারপিটের ঘটনায় আজাদ খানকে প্রাক্তন মন্ত্রী সিদ্দেক আহমদ মদত যোগাচ্ছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। একাংশের মতে, আজিজ খানের কাছে সিদ্দেক আহমদ পরাজিত হওয়ায় তিনি তার বদলা নিচ্ছেন। কিন্তু সেই অভিযোগকে অযৌক্তিক বলে উড়িয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী সিদ্দেক। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনে হেরে গেলেও কারোর পারিবারিক বিষয়ে নাক গলানোর সময় আমার নেই।’’