অওরঙ্গাবাদে। পিটিআইয়ের ফাইল চিত্র।
রামনবমী ঘিরে বিহারের বিভিন্ন জেলায় ‘গোষ্ঠী-সংঘর্ষে’ দলের ভূমিকা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে সরকারে থাকা বিজেপি নেতাদের। লোকসভা নির্বাচনের আগে এর প্রভাব সংগঠনে পড়তে পারে বলে মনে করছেন প্রবীণ নেতাদের একাংশ। দলের এই দ্বন্দ্বে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতারা রাজ্য সভাপতি নিত্যানন্দ রায়ের পাশে। বিজেপি নেতা তথা সুশীল মোদীকে সেই বার্তাও দিল্লির তরফে দেওয়া হয়েছে।
অররিয়া লোকসভা উপ-নির্বাচনে দলের অবস্থান নিয়ে খুশি ছিলেন না উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী। প্রচারে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি নিত্যানন্দ রায় বলেন, ‘‘অররিয়াতে আরজেডি জিতলে এই এলাকা আইএসআইয়ের দুর্গে পরিণত হবে।’’ নিত্যানন্দ এবং সুশীল মোদীর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে কার্যত এই মেরুকরণের চেষ্টাকে কেন্দ্র করেই। দ্বারভাঙায় তথাকথিত নরেন্দ্র মোদী চককে কেন্দ্র করে গোলমালের জেরে বিজেপি নেতার বাবাকে কুপিয়ে খুন করে আরজেডি সমর্থকরা। সেই ঘটনার সময়েও ‘ব্যক্তিগত জমি বিবাদ’-কেই প্রধান কারণ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেন সুশীল মোদী। তার পাল্টা হিসেবে দ্বারভাঙার গ্রামে যান নিত্যানন্দ রায় এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ। সেখানে সরকার বিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়। ভাগলপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবের ছেলে অর্জিতের ভূমিকা নিয়েও নিয়েও ক্ষুব্ধ সুশীল মোদী।
রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদব গত ২৯ মার্চ পটনায় দলের নেতাদের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠকে বলেন, ‘‘শাসন ক্ষমতা নয়, সংগঠনই গুরুত্বপূর্ণ।’’ জোট সরকারের ক্ষতি হয় এমন কিছু এখন করা যাবে না বলার পাশাপাশি দলের ‘রাজনীতি’ অপরিবর্তিত রাখার বার্তা সুশীল মোদী গোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছে। এত দিন দলে, সরকারে বিজেপির তরফে নেতৃত্ব দিতেন সুশীলই। সংগঠনেও তাঁর কথাই চলত। কিন্তু এ বার তা বন্ধ করে লোকসভার ভোটের আগে নিত্যানন্দের হাতেই ক্ষমতা তুলে দেন মোদী-শাহরা। কর্মীদের চাঙ্গা করতে প্রতি বিধানসভা কেন্দ্রে রাত কাটাবেন নিত্যানন্দ। এই যাদব নেতার অবশ্য দাবি, ‘‘সকলেই ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।’’