বেঙ্কাইয়া নায়ডু।— ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি নিয়ে কোনও আপস নয়। উপরাষ্ট্রপতি পদে সেই নরেন্দ্র মোদীর প্রার্থী বেঙ্কাইয়া নায়ডুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির ৪টি অভিযোগ আজ সামনে নিয়ে এল কংগ্রেস। বেঙ্কাইয়ার দাবি, রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে এর পিছনে। বেঙ্কাইয়ার পাশে দাঁড়িয়ে সংসদীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমার বলেন, ‘‘এই সব অভিযোগই ভিত্তিহীন।’’
অভিযোগগুলি কী? এক, গত জুনে তেলঙ্গানা সরকার একটি গোপন নির্দেশিকায় বেঙ্কাইয়ার মেয়ের ট্রাস্টকে ২ কোটির বেশি ছাড় দিয়েছে।
দুই, ২০১৪ সালে তেলঙ্গানা সরকার কোনও দরপত্র না ডেকে বেঙ্কাইয়ার ছেলের সংস্থা থেকে পুলিশের গাড়ি কেনার বরাত দিয়েছে।
তিন, ২০০৪ সালে মধ্যপ্রদেশ সরকার ভোপালে ২০ একর জমি নামমাত্র দামে কিনে ‘কুশাভাও ঠাকরে ট্রাস্ট’-কে বছরে ১ টাকা ভাড়ায় দিয়েছে। জমির চরিত্রও বদল করা হয়েছে। বেঙ্কাইয়া ছিলেন ওই ট্রাস্টের চেয়ারম্যান। সুপ্রিম কোর্ট পরে এই বরাদ্দ পরে খারিজ করে।
চার, বিজেপি সভাপতি থাকার সময় অন্ধ্রপ্রদেশে গরিবদের জন্য বরাদ্দ প্রায় ৫ একর জমি হাতিয়ে নিয়েছিলেন বেঙ্কাইয়া। বিতর্কের চাপে পরে অবশ্য তা ফেরত দিতে হয়।
কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ আজ এই সব অভিযোগের নথি হাতে নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। প্রশ্ন তোলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী তো দুর্নীতির সঙ্গে কোনও রকম সমঝোতা না করার কথা বলেন। উপরাষ্ট্রপতি পদে তাঁর পছন্দের প্রার্থীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির এই অভিযোগগুলি কি তিনি খতিয়ে দেখবেন? বেঙ্কাইয়া প্রভাব খাটানোর দৌলতেই তাঁর ছেলে ও মেয়েকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে।
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মাত্র দশ দিন আগে এমন অভিযোগের মুখে পড়ে বেঙ্কাইয়া সন্ধেয় এক বিবৃতি দেন। দাবি করেন, তাঁর মেয়ের সংস্থাই শুধু ছাড় পেয়েছে এমনটা নয়। আগে কংগ্রেস সরকারও এমন ছাড় দিয়েছে। আর ছেলের ব্যবসায় তিনি নাক গলান না। গাড়ির বরাত সরাসরি তাঁর ছেলের সংস্থাকেও দেওয়া হয়নি। ‘কুশাভাও ঠাকরে ট্রাস্ট’কে জমি দেওয়া নিয়ে বেঙ্কাইয়ার জবাব, জমি বন্টনে তাঁর কোনও ভূমিকা ছিল না।
অতীতে কংগ্রেস সরকারও এমন অনেক জমি বরাদ্দ করেছে। চতুর্থ অভিযোগ নিয়ে বেঙ্কাইয়ার বক্তব্য, জমি হাতানোর বিষয়টি আদালতই খারিজ করে দিয়েছে। বেঙ্কাইয়া বলেছেন, ‘‘কংগ্রেস রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছে বলেই উপরাষ্ট্রপতি ভোটের আগে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই সব অভিযোগ তুলছে।’’