প্রধানমন্ত্রী হতে চান মায়া, সতর্ক রাহুলেরা

চোদ্দ বছর পর ভোটের কৌশল বদলে লোকসভায় লড়তে চাইছেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। দলীয় সূত্রের দাবি, আগামী লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মুখ হতে চান বহেনজী। বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা ভোটে (ছত্তীশগঢ়, হরিয়ানা) আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৮ ১০:০০
Share:

মায়াবতী

চোদ্দ বছর পর ভোটের কৌশল বদলে লোকসভায় লড়তে চাইছেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। দলীয় সূত্রের দাবি, আগামী লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মুখ হতে চান বহেনজী। বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা ভোটে (ছত্তীশগঢ়, হরিয়ানা) আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছেন তিনি। অন্ধ্রপ্রদেশে ওয়াই এস আর কংগ্রেসের জগন্মোহন রেড্ডির সঙ্গেও তাঁর কথাবার্তা চলছে বলে দলীয় সূত্রের খবর।

Advertisement

পরিস্থিতির দিকে সতর্ক নজর রাখছেন রাহুল গাঁধী এবং অখিলেশ সিংহ যাদব। বিরোধী জোট ভাঙলে যে আখেরে বিজেপিরই লাভ, সেটা বিলক্ষণ জানেন রাহুল-অখিলেশরা। এসপি সূত্রের খবর, আপাতত তারা মায়াবতীর সঙ্গে কোনও সংঘাতের রাস্তায় হাঁটতে চাইছেন না। বরং বহেনজী যদি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার দাবি জানান, তবে এখনই তার বিরোধিতা করবেন না অখিলেশরা। কেন না এটা স্পষ্ট যে, ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে কোনও সর্বসম্মত বিরোধী প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হচ্ছে না। যা হওয়ার হবে ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে। তাই এখন বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা না করে, মায়াবতীর সঙ্গে সম্পর্ক যতটা সম্ভব মধুর রেখে, উত্তরপ্রদেশের এসপি-বিএসপি-কংগ্রেস জোটটিকে মসৃণ করাটাই লক্ষ্য অখিলেশের।

অন্য দিকে এসপি এবং কংগ্রেস শিবিরের বিশ্লেষণ, উত্তরপ্রদেশের একটি বড় অংশ বাদ দিলে দেশের অন্যান্য রাজ্যের দলিত সম্প্রদায়ের মধ্যে মায়াবতীর প্রভাব ক্রমশ কমছে। ফলে তিনি দিল্লির তখতে বসার যতই স্বপ্ন দেখুন না কেন, বাস্তবের জমিতে দাঁড়িয়ে তা অসম্ভব। কিন্তু সেটা এখনই তাঁকে চোখে আঙুল দিয়ে না দেখিয়ে ভোট পর্যন্ত বহেনজীকে নিজেদের সঙ্গে রাখাটাই রাহুল–অখিলেশদের কাছে চ্যালেঞ্জ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন