রাহুলের বহুলপ্রচারিত স্লোগান বেমালুম চুরি করে নেওয়ার অভিযোগ উঠল নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে।
খোদ চৌকিদারই চোর— রাফাল নিয়ে এই অভিযোগ রোজ করছেন রাহুল গাঁধী। এ বারে রাহুলের বহুলপ্রচারিত স্লোগান বেমালুম চুরি করে নেওয়ার অভিযোগও নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তুলল কংগ্রেস।
সামাজিক কাজে যুক্ত তথ্য প্রযুক্তি পেশাদারদের সঙ্গে কাল সন্ধ্যায় প্রায় দু’ঘণ্টা কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। মানুষের সঙ্গে ‘ছিঁড়ে যাওয়া সম্পর্ক জোড়া লাগাতে’ ভোটের আগে মাঠে নামাতে চাইলেন তাঁদের। আর মোদীর সেই অনুষ্ঠানের স্লোগান দেওয়া হয়েছিল— ‘ম্যায় নেহি হম’।
আজ সকাল হতেই কংগ্রেস সামনে আনল গত লোকসভা ভোটে রাহুল গাঁধীর পোস্টার, যেখানে রাহুলের ছবি দিয়ে ঠিক এই স্লোগানটিই তোলা হয়েছিল। বাংলায় যার অর্থ— ‘আমি নই, আমরা।’
কংগ্রেস নেতারা বললেন, গত সাড়ে চার বছরে একটিও কাজ নতুন করেননি প্রধানমন্ত্রী। যে সব প্রকল্প নিয়ে ঢাক পেটান, সেগুলিও কংগ্রেসের আমলে শুরু হওয়া।
শুধু নাম বদলে নিজের বলে দাবি করেছেন। ব্যাঙ্কের সঞ্চয় প্রকল্পকে ‘জনধন’, কন্যা সন্তান প্রকল্পের নাম ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’, নির্মল ভারত অভিযানকে ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ করেছেন। ২০টির বেশি এ ধরনের প্রকল্প আছে, যেগুলি কংগ্রেসের আমলে শুরু হওয়া। এক কংগ্রেস নেতার আক্রমণ— ‘‘প্রধানমন্ত্রী এত কিছু চুরি করতে পারেন, আম জনতার টাকা চুরি করে বন্ধু অনিল অম্বানীকে দিচ্ছেন— সেখানে স্লোগান চুরি তো মামুলি বিষয়।’’
বিজেপি অবশ্য এই নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও বিতর্কে জড়াতে চাইছে না। কিন্তু জনান্তিকে এক নেতা দাবি করছেন, ‘‘গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ে ২০১১ সালে মোদীর বিজ্ঞাপনে এই স্লোগান ব্যবহার করা হয়েছিল। গত লোকসভা ভোটে রাহুলই সেখান থেকে এটি নিয়েছেন। তাতেও ভোটে জিততে পারেননি।’’ কংগ্রেসও নাছোড়। তারা বলছে, এই স্লোগান কোনও ভাবেই মোদীর আদর্শের সঙ্গে খাপ খায় না। এটি কংগ্রেসেরই সুর। গত লোকসভা ভোটের বছর চারেক আগে ইন্দৌর পুরসভার এক কংগ্রেস সদস্য প্রথম এই স্লোগান ব্যবহার করেন। গত লোকসভায় সেটিকেই রাহুল গাঁধীর আনুষ্ঠানিক স্লোগান করে হয়েছিল।