রাহুল গাঁধী
কর্নাটকে ফের ধাক্কা খেল বিজেপির স্বপ্ন। আর উনিশের লোকসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদীকে আরও চাপে ফেলে দিয়ে দক্ষিণের এই রাজ্যের পুরভোটে বেশিরভাগ আসনেই জয়ী হল কংগ্রেস ও জেডিএস।
একজোট হয়ে রাজ্য সরকার চালালেও পুরভোটে রাহুল গাঁধী আর এইচ ডি কুমারস্বামীর দল আসনরফা করেনি। তবে আজ ফল ঘোষণা হতেই জানিয়েছে, এক হয়ে বিভিন্ন বোর্ড গড়তে চলেছে তারা। ফলে মাস কয়েক আগে কর্নাটকে সরকার গড়তে গিয়ে যে ভাবে মান খুইয়েছিল বিজেপি, দ্বিতীয় লড়াইয়েও বিরোধীদের কাছে একই ভাবে ধাক্কা খেল তারা। বিজেপিকে টপকে পুরভোটে সব থেকে বেশি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। আর কুমারস্বামীর দল তৃতীয় স্থানে।
কর্নাটকে গত মে মাসে সরকারের গঠনের পরে এই প্রথম ভোট। তিনটি কর্পোরেশন, ২৯টি সিটি মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল, ৫২ টি টাউন মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল ও ২০টি টাউন পঞ্চায়েতের ফল পরের লোকসভা ভোটে কংগ্রেস ও জেডিএসের আসন ভাগাভাগির ক্ষেত্রকেও সামনে নিয়ে এসেছে। অনেকেই মনে করছেন, বিধানসভা ও এই পুরভোটের অঙ্কের নিরিখেই রাহুল-কুমারস্বামীরা আসন সমঝোতার কথা এগোবেন। মোট ২৭০৯ টির মধ্যে এখনও পর্যন্ত ঘোষিত আসন ২৬২৮ টি। কংগ্রেস ৯৬৬, বিজেপি ৯১০ ও জেডিএস ৩৭৩ টিতে জয়ী। নির্দল ও অন্য দলের প্রার্থীরা জিতেছেন বাকি আসনে।
বিজেপি নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পা স্বীকার করে নিয়েছেন, হার হয়েছে। যা আশা করেছিলেন, তা হয়নি। পরে অবশ্য বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ টুইট করে দাবি করেন, গত বারের তুলনায় আসন কমেছে কংগ্রেস-জেডিএস জোটের। তাঁর মতে, সেটাই বুঝিয়ে দিচ্ছে, ‘সুবিধাবাদী’ জোটে অসন্তোষ রয়েছে। আর জয়ের পরেই কুমারস্বামী নিশানা করেন বিজেপিকে। বলেন, ‘‘বিজেপি দাবি করেছিল, কংগ্রেস-জেডিএসের জোট এগোবে না। মানুষ সেটা ভুল প্রমাণ করেছে।’’ কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার মন্তব্য, ‘‘জোটের উন্নয়নকেই সমর্থন করেছেন।’’
মিছিলে অ্যাসিড হামলা: পুরভোটের বিজয় মিছিলে অ্যাসিড হামলা। তাতেই আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ১০ জন কংগ্রেস সমর্থক। টুমকুরে কংগ্রেস প্রার্থী ইনায়ুতুল্লা খান বিজয় মিছিল করছিলেন। সেই সময়েই ভিড়ের মধ্যে কেউ অ্যাসিড ছোড়ে।