সার্জিকাল স্ট্রাইকের মাথাই রাহুলের তাস

কংগ্রেসের বক্তব্য, দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব একমাত্র মোদী সরকারই সামলাতে পারে বলে বিজেপি প্রচার করছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:৪৪
Share:

হুডার সঙ্গে রাহুল। নিজস্ব চিত্র

পুলওয়ামায় জওয়ানদের উপর হামলার জন্য মোদী সরকারকেই দায়ী করছে কংগ্রেস। এ বার কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কী ভাবে সাজানো হবে, তার রূপরেখা তৈরির জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করলেন রাহুল গাঁধী। এবং সকলকে চমকে দিয়ে সেই টাস্ক ফোর্সের প্রধান করা হল সেনার অবসরপ্রাপ্ত অফিসার, লেফটেনান্ট জেনারেল ডি এস হুডাকে, নর্দার্ন কম্যান্ডের প্রধান হিসেবে যাঁর নেতৃত্বে ২০১৬-য় পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিকাল স্ট্রাইক হয়েছিল। উরিতে জঙ্গি হামলার পরে এই সার্জিকাল স্ট্রাইক নিয়েই ঢাক পিটিয়ে উত্তরপ্রদেশের ভোটে ফায়দা তোলার চেষ্টা করেছিল বিজেপি।

Advertisement

কংগ্রেসের বক্তব্য, দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব একমাত্র মোদী সরকারই সামলাতে পারে বলে বিজেপি প্রচার করছে। লোকসভা ভোটের আগে জাতীয়তাবাদের ঢেউ তুলতে চাইছে। তার পাল্টা জবাবে কংগ্রেসও যে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে, সেই বার্তা দিতেই রাহুলের এই পদক্ষেপ।

কংগ্রেস সূত্রের খবর, হুডার নেতৃত্বে এই টাস্ক ফোর্স অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি ‘ভিশন পেপার’ তৈরি করবে। যেখানে সীমান্ত ও দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা মজবুত করার কৌশল থাকবে। আজ কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের পর হুডা বলেন, ‘‘টাস্ক ফোর্সে নানা ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা থাকবেন। যেমন, প্রাক্তন কূটনীতিক, প্রাক্তন ফৌজি অফিসার এবং মাওবাদী এলাকায় কাজ করা পুলিশ অফিসারেরা। জাতীয় নিরাপত্তার পরিকল্পনা নিয়ে একটি বিতর্ক শুরু করা হবে। এত দিন এই ধরনের পরিকল্পনা ছিল না।’’

Advertisement

জওয়ানদের উপর হামলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই রাজনীতি না-করার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ-ই বলেন, কেন্দ্রে কংগ্রেস সরকার নেই। বিজেপি রয়েছে। তাই জওয়ানদের বলিদান বিফলে যাবে না। আজ কংগ্রেস অভিযোগ তুলেছে, জওয়ানদের মৃত্যুর জন্য গোয়েন্দা ব্যর্থতা দায়ী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদী বা তাঁর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এই ব্যর্থতার দায় স্বীকার করেননি। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘মোদী জাতীয় শোক ঘোষণা করেননি। জওয়ানদের কফিন দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছনোর এক ঘণ্টা পরে শ্রদ্ধা জানাতে পৌঁছন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন