রাফাল প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিজেপি-কে আরও চেপে ধরল রাহুল গাঁধীর দল। —ফাইল চিত্র।
রাফাল নিয়ে টুঁ শব্দ করলেন না। তবে বায়ুসেনার বিস্তর গুণ গাইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর রাফাল প্রসঙ্গে তাঁর এই নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আরও চেপে ধরল রাহুল গাঁধীর দল।
রেডিয়োয় মাসিক ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আজ সার্জিকাল স্ট্রাইকের কথা বলতে গিয়ে টেনে আনেন বায়ুসেনার প্রসঙ্গ। ৮ অক্টোবর ‘বায়ুসেনা দিবসে’র আগে মোদী বলেন, ‘‘আকাশে শক্তি দেখিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা প্রত্যেক দেশবাসীর নজর কেড়েছে। একের পর এক ঘটনায় বায়ুসেনা নিজের শক্তি দেখিয়েছে। গণতন্ত্র দিবসেও সকলের আগ্রহ থাকে ‘ফ্লাই পাস্ট’-এর দিকে।’’ এত কিছু বললেও রাফাল নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করলেন না তিনি।
কংগ্রেসের নেতারা প্রশ্ন তুললেন, প্রধানমন্ত্রী কেন রাফাল নিয়ে চুপ? দলের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার কথায়, ‘‘রাফাল নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য মোদী অন্য মন্ত্রী-নেতাদের পাঠাচ্ছেন। কিন্তু নিজে এড়াচ্ছেন!’’ প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে টুইট করে প্রশ্ন করেন, ‘‘প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাফাল নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিতে চাইছেন না কেন? কেন সে নির্দেশ দেওয়া উচিত, তার কারণ আমি বলছি।’’
এই বলে চিদম্বরম তিনটি কারণ তুলে ধরেন। এক, ১২৬টি বিমান বায়ুসেনা মঞ্জুর করলেও সেটি কেন খারিজ করা হল? দুই, হ্যালের নাম কেন অফসেটের জন্য বিবেচনা করা হল না? তিন, এনডিএ-র সমঝোতায় বিমানের দাম যদি ৯ শতাংশ সস্তাই হয়, তা হলে ১২৬টির বদলে মাত্র ৩৬টি বিমান কেনার সিদ্ধান্ত কেন হল? চিদম্বরমের বক্তব্য, প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাইলে তিনি আরও ডজনখানেক কারণ বলতে প্রস্তুত।
এখন শুধু দেশে নয়, বিদেশেও মোদী সরকারের মন্ত্রী-নেতাদের রাফাল নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিংহকে দুবাইয়ে রাফাল নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে হ্যালের যোগ্যতার অভাবকেই কারণ হিসেবে দেখান তিনি। ভি কে সিংহ বলেন, ফ্রান্সের সংস্থা দাসো যদি হ্যালকে যথাযথ ‘উপযোগী’ বলে মনে করত, তা হলে এত কিছুই হত না। ক’দিন আগে নির্মলাও বলেছিলেন, হ্যাল আড়াই গুণ বেশি সময় নিচ্ছিল বলেই ইউপিএ জমানায় চুক্তি হয়নি। কিন্তু হ্যাল নিয়ে বিজেপি মন্ত্রীদের এত বিরূপ মন্তব্যের মধ্যেই ক’দিন আগে হ্যাল জানিয়েছে, তারা এ বার রেকর্ড ব্যবসা করেছে। এই তথ্য নিয়েও মোদী সরকারকে নিশানা করছে বিরোধীরা।