দু’দিন আগে জেরার মুখে পড়েছিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মতিলাল ভোরা ও ভূপিন্দর সিংহ হুডা। আজ কংগ্রেসের আর এক প্রবীণ নেতা, হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহকে দিনভর জেরা করল ইডি।
সংসদের শেষ হওয়া অধিবেশনেই কংগ্রেস অভিযোগ তুলেছিল, সিবিআই, ইডি-কে রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগাচ্ছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। বহু বার রাজ্যসভা অচলও করে রাখেন আনন্দ শর্মারা। তার পরেও একের পর এক ইডি-র জেরায় মোদী সরকারের বার্তা স্পষ্ট, কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে ঢিলেমি দেওয়া হচ্ছে না।
আজ হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহকে ইডি-র সদর দফতরে ডেকে পাঠানো হয়। চলতি বছরেই হিমাচলে বিধানসভা ভোট। তার আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে দিল্লিতে ডেকে জেরা করে ইডি মোদী সরকারের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করছে বলেই অভিযোগ কংগ্রেস মুখপাত্রদের। বীরভদ্র ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে বলেন, ‘‘দেখনা হ্যায় জোর কিতনা বাজু-এ-কাতিল মে হ্যায়!’’ ইডি সূত্রের বক্তব্য, মনমোহন সরকারের আমলে ইস্পাতমন্ত্রী থাকার সময় অন্তত ১০ কোটি টাকার বেআইনি সম্পত্তি কব্জা করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে আগে তাঁর
স্ত্রী প্রতিভা, পুত্র বিক্রমাদিত্যকেও জেরা করা হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে দক্ষিণ দিল্লিতে বীরভদ্রর ২৭ কোটি টাকার খামার বাড়িও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। ভুয়ো সংস্থা তৈরি করে বীরভদ্র ওই খামার বাড়িটি কিনেছিলেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: শুধু দলের ভার চান না পনীররা, চুপ পলানীও
কংগ্রেস নেতারা মতিলাল ভোরার মতো ৮৮ বছরের প্রবীণকে জেরা করা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। মতিলাল এখন কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ। দু’দিন আগে তাঁর বাড়িতে গিয়ে ইডি-কর্তারা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একই সময়ে চণ্ডীগড়ে হরিয়ানার প্রাক্তন
মুখ্যমন্ত্রী হুডাকেও জেরা করা হয়। ন্যাশনাল হেরাল্ড তথা অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালকে পাঁচকুলায় ২০০৫-এ নিয়ম ভেঙে সরকারি জমি বণ্টনের তদন্তে উদ্ধার করা নথি নিয়ে তাঁদের ব্যাখ্যা চান তদন্তকারী অফিসাররা।
গত সপ্তাহে হরিয়ানা-রাজস্থানে জমি কেলেঙ্কারির তদন্তে সনিয়া গাঁধীর জামাই রবার্ট বঢরার ঘনিষ্ঠদের বাড়ি-দফতরে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। তার পর বিদেশি মুদ্রা নয়ছয় আইনে নোটিস পাঠানো হয় প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের পুত্র কার্তিকে। এ সবের পিছনেই মোদী সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে বলে কংগ্রেস নেতাদের দাবি।