—প্রতীকী চিত্র।
বিহারে কংগ্রেসের প্রার্থীদের টিকিট বিলি, শরিক আরজেডি-র সঙ্গে সমন্বয় নিয়ে অভিযোগ এবং রাজ্যের নেতাদের একাংশের ক্ষোভের মুখে বিহারে কংগ্রেসের দায়িত্ব থেকে ‘কার্যত’ সরানো হল কৃষ্ণ অল্লাভুরুকে। সূত্রের খবর, রাহুল গান্ধীর ইচ্ছা অনুযায়ীই এই সিদ্ধান্ত। সরকারি ভাবে ঘোষণা হয়নি।
পনেরো বছর আগে রাহুলের সঙ্গে বৈঠকের পরেই কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে আসেন অল্লাভুরু। রাহুল তাঁকে যুব কংগ্রেসের দায়িত্ব দেন। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে তেলুগু কৃষ্ণকে বিহারের মতো হিন্দিভাষী রাজ্যে যখন দায়িত্ব দেন রাহুল, অনেকেই চমকে ওঠেন। কৃষ্ণ সাধারণ সম্পাদক বা সম্পাদকও নন। নিছক যুগ্ম সম্পাদক। সম্প্রতি তাঁকে ঘিরে একাধিক অভিযোগ ওঠায় ভোটের সপ্তাহ দুয়েক আগে তাঁকে এক প্রকার সরানো হল।
আপাতত এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক অবিনাশ পাণ্ডেকে ‘সাংগঠনিক সমন্বয়’ ও ‘রণকৌশল তৈরি’র দায়িত্ব দিয়ে বিহারে পাঠানো হয়েছে। অবিনাশ উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের দায়িত্বে রয়েছেন। লোকসভা ভোটে অমেঠী-রায়বরেলীর রণনীতি তৈরি এবং সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে বোঝাপড়ায় তাঁর ভূমিকা সাফল্য এনেছিল। মহারাষ্ট্রের নেতা অবিনাশের বক্তব্য, ‘‘আগামী নির্বাচনে সাংগঠনিক সমন্বয় ও রণনীতি তৈরির দায়িত্ব সামলাব।’’
কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, কৃষ্ণ রাহুল-তেজস্বীর ভোটার অধিকার যাত্রার পরিকল্পনা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। অখিলেশ প্রসাদ সিংহকে সরিয়ে দলিত নেতা রাজেশ রামকে প্রদেশ সভাপতি করার পিছনেও তিনি। ফলে অখিলেশ-গোষ্ঠীই প্রথম কৃষ্ণর বিরুদ্ধে সরব হয়। টিকিট বিলি নিয়ে একাধিক জায়গায় ক্ষোভের মুখে পড়েন কৃষ্ণ। আরজেডি-র কাছে অনেক বেশি আসনের দাবি ও তেজস্বীকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণার ক্ষেত্রে আপত্তি তোলায় জোটের সুর কাটে। মহাগঠবন্ধনের প্রচারধাক্কা খায়।
সূত্রের খবর, কৃষ্ণকে যুব কংগ্রেসের দায়িত্ব থেকে সরানো, অশোক গহলৌতকে লালু-তেজস্বীর সঙ্গে কথা বলতে পাঠানোর পরে অবিনাশ পাণ্ডেকে রণনীতি তৈরির দায়িত্ব দিয়ে কৃষ্ণকে কোণঠাসা করা হল। তবে বিহারের তারকা প্রচারকের তালিকায় কৃষ্ণ আছেন। বিহার কংগ্রেসের এক নেতার মতে, ‘‘কৃষ্ণ আস্থাভাজন হলেও রাহুল ক্ষোভের মুখে নমনীয় মনোভাব নিলেন।’’
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে