মেজাজ হারিয়ে কর্তব্যরত মহিলা কনস্টেবলকে চড় মারেন কংগ্রেস বিধায়ক।
শিমলায় দলীয় কর্মী এবং বিধায়কদের সঙ্গে সভা করছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। সেই সভার মাঝেই বিপত্তি ঘটল।
দলীয় কার্যালয়ে সভাপতি যখন জরুরি বৈঠকে ব্যস্ত, কার্যালয়ের বাইরে তখন প্রবল উত্তেজনা। তুমুল শোরগোল, হইচই, ধাক্কাধাক্কি আর পুলিশ কর্মীদের দৌড়োদৌড়ি। সব মিলিয়ে একেবারে ধুন্ধুমার কাণ্ড।
ঘটনাটা ঠিক কী?
রাহুলের বৈঠকে যোগ দিতে এ দিন দলীয় কার্যালেয়র বাইরে ভিড় জমিয়েছিলেন কর্মী এবং বিধায়কেরা। কিন্তু সবাইকে ভিতরে যাওয়ার অনুমতি দেননি কার্যালের বাইরে দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা। গোল বাঁধে এখানেই। ওই ভিড়ের মধ্যেই ছিলেন ডালহৌসির বিধায়ক আশা কুমারী। ভিতরে ঢুকতে না পেরে স্বভাবতই মেজাজ হারান। তাঁর অভিযোগ, ভিতরে ঢোকার মুখে তাঁকে ধাক্কা দেন এক মহিলা কনস্টেবল। তখনই ওই কনস্টেবলকে চড় মারেন তিনি। কনস্টেবলও চুপ থাকেননি, পাল্টা চড় কষিয়ে দেন বিধায়ককে। এই ঘটনায় হইচই পড়ে যায়। গোটা ঘটনাটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুন:
মুম্বই অগ্নিকাণ্ড: নিজের জন্মদিনেই নিভল খুশির প্রাণ
‘সর্বজিতের স্ত্রীর সিঁদুরও মুছে দিয়েছিল পাক পুলিশ’
দেখুন ভিডিও:
তবে এই কাজের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘‘ওই কনস্টেবল আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে, আমাকে ধাক্কা মারে। সে আমার মেয়ের বয়সী। তবে মানছি, মেজাজ হারানো আমার উচিত হয়নি। আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’’
অন্য দিকে, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন রাহুলও। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি খুব খারাপ হয়েছে। এটা কোনও উপায় নয়। কারও গায়ে হাত তোলা নীতিবিরুদ্ধ কাজ। এটা কংগ্রেসের সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে না। দলের ভিতরে কোনও রকম বিশৃঙ্খলা আমি বরদাস্ত করব না।”