মনমোহন প্রশ্নে সুর নরম কেন্দ্রের

ভোট-প্রচারে গিয়ে মনমোহন সিংহের বিরুদ্ধে পাকিস্তান-ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে আজ সংসদের দুই কক্ষেই কোমর বেঁধে নামেন কংগ্রেস সাংসদেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:৪৬
Share:

মনমোহন সিংহ। —ফাইল চিত্র।

বলতে দেননি। তবু ‘ধন্যবাদ’ পেলেন তাঁদের, যাঁরা বলতে চেয়েছিলেন! লোকসভায় আজ এমনই অভিনব প্রতিবাদের মুখে পড়লেন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন।

Advertisement

ভোট-প্রচারে গিয়ে মনমোহন সিংহের বিরুদ্ধে পাকিস্তান-ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে আজ সংসদের দুই কক্ষেই কোমর বেঁধে নামেন কংগ্রেস সাংসদেরা। সংখ্যার অভাব থাকায় তাঁরা বিষয়টি নিয়ে লোকসভার অধিবেশন অচল করতে পারেননি। স্পিকারও তাঁদের মুখ খোলার অনুমতি দেননি। বরং তিনি বলেন, ‘‘যা হওয়ার নির্বাচনী সভায় হয়েছে। মানুষ রায়ও দিয়ে দিয়েছেন। এখন বিষয়টি ছেড়ে দিন।’’ এর পরেও কংগ্রেস সাংসদেরা একে একে ওয়েলে নেমে এসে স্পিকারকে ধন্যবাদ জানাতে থাকেন ‘বলতে দেওয়া’-র জন্য। প্রতিবাদের এই অভিনব কৌশল দেখে হাসি চাপতে পারেননি সনিয়া ও রাহুল গাঁধীও। শেষে ওয়াক-আউট করেন তাঁরা।

রাজ্যসভায় শক্তি বেশি বিরোধীদের। শুক্রবার শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই মোদীর ক্ষমাপ্রার্থনার দাবিতে রাজ্যসভা অচল করে রেখেছে কংগ্রেস। আজও বিষয়টি নিয়ে অচলাবস্থা বজায় রেখে সরকারের উপরে চাপ বাড়ায় তারা। জট কাটাতে নামতে হয় সরকারকে। কংগ্রেসের নেতা গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মার সঙ্গে আলোচনায় বসেন অরুণ জেটলি। সরকারের তরফে অবশ্য স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমাপ্রার্থনা বা জবাবদিহির কোনও প্রশ্নই নেই।

Advertisement

শেষে ঠিক হয়, রাজ্যসভাতেই দুই শিবির নিজেদের কথা বলবে। টানাপড়েন কাটিয়ে সমাধানসূত্র বার করা যাবে বলেই আশাপ্রকাশ করেছেন জেটলি। সূত্রের খবর, মনমোহনের কাছে সরকার পক্ষের কোনও নেতাকে পাঠানো হবে।

গুজরাতে প্রচারসভায় মোদী অভিযোগ করেছিলেন, বিজেপিকে হারাতে মণিশঙ্কর আইয়ারের বাড়িতে পাকিস্তানের লোকেদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মনমোহন। মোদীর ওই অভিযোগ নিয়ে মনমোহন নিজে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুর সঙ্গে বৈঠক করেন। এর পর বিরোধী দলনেতা-সহ অন্য দলের সঙ্গে আলোচনা করেন বেঙ্কাইয়া। রাজ্যসভায় গুলাম নবি বলেন, ‘‘ভোটের প্রচারে অভিযোগ তোলা নতুন কিছু নয়। কিন্তু এখানে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। তাঁদের সম্মান, দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সংসদে এসে বিষয়টি স্পষ্ট করুন।’’

সংসদ অচল করার প্রশ্নে আজও কংগ্রেসের পাশে ছিল না তৃণমূল। দলনেত্রীর নির্দেশ মেনে ডেরেক ও’ব্রায়েন রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে জানান, তাঁরা রাজ্যসভা চলার পক্ষে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন