অমিতকে জবাব কংগ্রেসের

অমিতের কথা শুনে ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিব  কটাক্ষ, ‘‘আপনি এমন বিষয় সংসদে বলতে পারেন, কারণ তথ্যের ভিত্তিতে ইতিহাস পড়া কিংবা বোঝার চেষ্টাও করেননি।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:১৯
Share:

অমিত শাহ।

নাগরিকত্ব বিল কেন আনতে হল?

Advertisement

এর একটাই উত্তর গত কাল থেকে দিয়ে আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেটি হল, কংগ্রেস যদি ধর্মের ভিত্তিতে দেশ বিভাজন না করতো, তা হলে এই বিলের কোনও প্রয়োজন হতো না।

অর্থাৎ, ধর্মের নামে বিভাজনের কথা স্বীকার না করেও দ্বিজাতি তত্ত্বের প্রসঙ্গ টেনে আনলেন অমিত শাহ। গত কাল লোকসভাতেই এর বিরোধিতা করে কংগ্রেস। সাফ জানায়, দ্বিজাতি তত্ত্বে শামিল ছিলেন জিন্না ও সাভারকর। কংগ্রেসের কোনও অবদান নেই। জবাবে অমিত সুকৌশলে এড়িয়ে যান সাভারকর প্রসঙ্গ। কিন্তু কংগ্রেস কেন ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগে সায় দিল, সেই প্রশ্ন তোলেন।

Advertisement

অমিতের কথা শুনে ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিব কটাক্ষ, ‘‘আপনি এমন বিষয় সংসদে বলতে পারেন, কারণ তথ্যের ভিত্তিতে ইতিহাস পড়া কিংবা বোঝার চেষ্টাও করেননি।’’ আজ সেই সুরেই বিজেপি ও সঙ্ঘকে নিশানা করেন কংগ্রেস নেতারা। দ্বিজাতি তত্ত্বের ইতিহাসও সামনে নিয়ে আসেন। প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা বলেন, ‘‘গাঁধী-নেহরু-সর্দার পটেল, অম্বেডকর, রাজেন্দ্র প্রসাদ, লালবাহাদুর শাস্ত্রী, মৌলানা আজাদেরা ইতিহাস বদলের বাহক। সেই সময় শুধু তিনটি বিভাজনকারী শক্তি ছিল। আরএসএস-সাভারকার, ইংরেজ আর জিন্না-মুসলিম লিগ। বাকি সকলে দেশকে বাঁচাতে চেয়েছিলেন, আর এই তিন শক্তি ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন চেয়েছিলেন। অমিত শাহ দেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার পটেলের কথাও ঠিকমতো পড়েননি। তাই স্বাধীনতার সংগ্রামীদের খোলাখুলি অপমান করছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন