Bihar Election

বিহার ভোট: আসন বোঝাপড়া এখনও চূড়ান্ত করতে পারল না ‘ইন্ডিয়া’! নিজেদের মতো করে প্রার্থী ঘোষণা শুরু কংগ্রেসের

২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় বিরোধীদের কে কত আসনে প্রার্থী দেবে, তা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। তেজস্বী যাদবের আরজেডির সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা চলেছে কংগ্রেসের। তবে এখনও পর্যন্ত আসন বোঝাপড়া চূড়ান্ত হয়নি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ১৩:৪৭
Share:

আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের সঙ্গে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। দফায় দফায় আলোচনার পরেও চূড়ান্ত হয়নি বিহারের ভোট নিয়ে তাঁদের আসন সমঝোতা। —ফাইল চিত্র।

বিহার ভোটের প্রথম দফায় মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন শুক্রবার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আসন সমঝোতা সেরে উঠতে পারল না বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। দর কষাকষি এখনও চলছে ‘মহাগঠবন্ধন’ (‘ইন্ডিয়া’য় বিহারের শরিকদলগুলি জোট এই নামেই পরিচিত)-এর মধ্যে। তবে চূড়ান্ত আসন বোঝাপড়া ঘোষণা হওয়ার আগেই কংগ্রেস নিজের মতো করে এক একটি করে আসনে প্রার্থী ঘোষণা করতে শুরু করে দিয়েছে।

Advertisement

বুধবার রাত থেকেই বিহারের প্রদেশ কংগ্রেস সমাজমাধ্যমে নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে শুরু করেছে। প্রার্থীদের ছবি-সহ ওই পোস্টগুলিতে কংগ্রেসের দাবি, ‘ইন্ডিয়া’র সমর্থন নিয়েই তাঁদের প্রার্থী করা হয়েছে। ওই পোস্টগুলি অনুসারে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ রাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কুটুম্বা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। এ ছাড়া আরও ১৭টি পৃথক পৃথক পোস্টে বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। তালিকায় রয়েছে ঔরঙ্গাবাদ, লখীসরায়, নালন্দা, বেগুসরাই, মুজফ্‌ফরপুর-সহ আরও বেশ কিছু কেন্দ্র। যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করা হয়নি।

২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় বিরোধীদের কে কত আসনে প্রার্থী দেবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তেজস্বী যাদবের আরজেডির সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা চলেছে কংগ্রেসের। এই পরিস্থিতিতে বুধবার বিহারের রাঘোপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নিজের মনোনয়ন জমা দিয়ে দিয়েছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী। তার কিছু ক্ষণ পর থেকেই দেখা যায় বিহার কংগ্রেসও নিজেদের মতো করে সমাজমাধ্যমে বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থীদের নাম একে একে প্রকাশ করতে শুরু করে দিয়েছে কংগ্রেস।

Advertisement

সংবাদমাধ্যমের একাংশে দাবি করা হচ্ছে, মুকেশ সাহানির বিকাশশীল ইনসান পার্টি এখনও দর কষাকষি চালিয়ে যাচ্ছে তেজস্বীদের সঙ্গে। ওই প্রতিবেদন অনুসারে, মুকেশরা অন্তত ২৪টি আসন চাইছেন। কিন্তু তেজস্বী তা দিতে নারাজ। আরজেডি সূত্রের ভিত্তিতে ওই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, তেজস্বী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, মুকেশদের খুব বেশি হলে ১৫টি আসন দেওয়া যাবে।

এ অবস্থায় মুকেশরা কী সিদ্ধান্ত নেন, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে বিরোধী শিবিরের অন্দরে। কারণ গত বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে তাঁরা ‘মহাগঠবন্ধন’-এ থাকলেও পছন্দমতো আসন না পেয়ে শিবির বদলে শাসকজোট ‘এনডিএ’-তে চলে যান। ওই সময়ে এনডিএ-র সঙ্গী হয়ে ১১টি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছিলেন তাঁরা। তার মধ্যে চারটি আসনে জয়ী হয় মুকেশের দল। পরবর্তী সময়ে চার জনের মধ্যে এক বিধায়কের মৃত্যু হয়। বাকি তিন জন বিজেপিতে চলে যান। তখন আবার ‘এনডিএ’ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন মুকেশ।

অন্য দিকে এ বারের নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া চূড়ান্ত করে প্রার্থী দিতে শুরু করে দিয়েছে শাসক জোট ‘এনডিএ’। বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি এবং জেডিইউ— দুই দলই সমানে সমানে আসন ভাগাভাগি করেছে। দুই দলই ১০১টি বিধানসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ২৯টি আসনে লড়াই করবে অধুনাপ্রয়াত রামবিলাস পাসোয়ানের পুত্র চিরাগ পাসোয়ানের দল এলজেপি (আর)। জিতনরাম মাঝীর হিন্দুস্থানি আওয়াম মোর্চা (হাম) এব‌ং উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা (আরএলএম) লড়াই করবে ছ’টি করে আসনে।

বিজেপি ইতিমধ্যে তিন দফায় প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করে ১০১ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করেছে নীতীশ কুমারের জেডিইউও। বুধবার তাদের প্রথম তালিকায় ৫৭ জন প্রার্থীর নাম ছিল। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত দ্বিতীয় তালিকায় আরও ৪৪জনের নাম ঘোষণা করে দিয়েছে জেডিইউ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement