ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
ঘরে ঘরে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিহারের নীতীশ কুমার পরিচালিত সরকারের জনমুখী প্রকল্পগুলির কথা প্রচারের নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার বিহারে বিজেপির বুথস্তরের কর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে (নমো অ্যাপের মাধ্যমে) একটি বৈঠক করেছেন তিনি। সেখানেই মহিলা বুথকর্মীদের বলেছেন, তাঁকে ‘স্যর’ বলে ডাকার প্রয়োজন নেই। ‘ভাইয়া’ বলে ডাকলেই হবে।
বিহার এ বছর দ্বিগুণ দীপাবলি পালন করবে, আশাবাদী মোদী। বৈঠকে তিনি বলেছেন, ‘‘এ বছর বিহার দ্বিগুণ দীপাবলি পাবে। নবরাত্রির প্রথম দিনে জিএসটির জন্য এক বার গোটা দেশ দীপাবলি পালন করেছে। আগামী ২০ অক্টোবর আবার দীপাবলি রয়েছে। আমরা তা-ও পালন করব। তবে এ বছর বিহার ১৪ নভেম্বর এনডিএ-র জয় উদ্যাপন করবে। বিহারের মেয়ে-বোনেরা তাতে বড় ভূমিকা পালন করবেন।’’ নারীশক্তিকে অনুপ্রেরণা বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘‘নারীশক্তি আমার সবচেয়ে বড় শক্তি, ঢাল এবং অনুপ্রেরণা। বিহারের সকল মা-বোন একসঙ্গে ভোট দিতে যাবেন, গান গাইতে গাইতে যাবেন, থালা বাজাতে বাজাতে গণতন্ত্রের উৎসব পালন করবেন।’’
ভোটে জেতার জন্য বুথস্তরে সাফল্য লাভ প্রয়োজন বলে মনে করছেন মোদী। বুথস্তরকে তাই একেবারেই হালকা ভাবে নিতে রাজি নন। আগামী ২৩ অক্টোবর ভাইফোঁটার দিন সকল বোনের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে বলেছেন। দলের কর্মীদের এই সংক্রান্ত নির্দেশ দিয়েছেন। স্লোগান তুলেছেন, ‘একজোট এনডিএ, একজোট বিহার— এতেই হবে সুশাসন কি সরকার’।
কী কী করতে হবে? বুথকর্মীদের উদ্দেশে মোদীর স্পষ্ট নির্দেশ, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের ছবি, ভিডিয়ো কর্মীরা তাঁদের পরিবারের লোকজনকে দেখাবেন। নিজ নিজ এলাকায় তাঁরাই এক এক জন মোদী। সেই হিসাবে কাজ করবেন।
বিহারের ইতিহাস সম্পর্কে যুবসমাজকে সচেতন করার দায়িত্বও কর্মীদের দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘যাঁরা নকশালদের ফের ক্ষমতাশালী করে তুলবে, তাঁদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার ঝুঁকি আমরা নিতে পারব না। বিহারের মানুষের ভোটই এই রাজ্যকে আরজেডি, কংগ্রেসের কুনজর থেকে বাঁচিয়েছে, তা আবার হবে।’’
উল্লেখ্য, আগামী ৬ এবং ১১ নভেম্বর বিহারের ২৪৩ সদস্যের বিধানসভায় দু’দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৪ নভেম্বর ভোটগণনা।