কংগ্রেসে অন্তর্বর্তী নেতৃত্ব চাইছেন কর্ণ

কংগেসের সভাপতি রাহুল গাঁধীকে থেকে যেতে পীড়াপীড়ি না করে তাঁর এই ‘সাহসী সিদ্ধান্ত’-কে সম্মান জানানো হোক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৯ ০৩:২৩
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

রাহুল গাঁধী কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে পদত্যাগের পর ছয় সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও কোনও বিকল্প নেতৃত্ব তৈরি না হওয়ায় বিরক্তি প্রকাশ করলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কর্ণ সিংহ।

Advertisement

তাঁর প্রস্তাব, কংগ্রেসের সংগঠনে তাজা রক্ত আনতে দেশের চারটি অঞ্চলের জন্য চার জন কার্যকরী সভাপতি বা সহ-সভাপতি নিয়োগ করা হোক। কংগেসের সভাপতি রাহুল গাঁধীকে থেকে যেতে পীড়াপীড়ি না করে তাঁর এই ‘সাহসী সিদ্ধান্ত’-কে সম্মান জানানো হোক। দলীয় নির্বাচন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী কংগ্রেস সভাপতি নিয়োগ করা হোক। এ জন্য আর দেরি না করে অবিলম্বে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকা হোক। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ বৈঠকে সভাপতিত্ব করতে পারেন বলেও মত দিয়েছেন কর্ণ।

আজ বিবৃতি দিয়ে কর্ণ বলেন, ‘‘গত ২৫ মে রাহুলের পদত্যাগের পর থেকে দল যে ভাবে বিভ্রান্তি ও দিশাহীনতার মধ্যে পড়েছে, তা দেখে আমি হতভম্ব। রাহুলের সাহসী সিদ্ধান্তকে সম্মান না জানিয়ে তাঁর পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করার জন্য এক মাস তাঁকে পীড়াপীড়ি করে সময় নষ্ট করা হয়েছে। এর কোনও দরকার নেই। ছয় সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। কিন্তু কোনও বিকল্প নেতৃত্ব তৈরি হয়নি।’’

Advertisement

যাঁর সিদ্ধান্ত ঘিরে এত বিতর্ক, সেই রাহুল আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আগামী ১০ জুলাই অমেঠীতে গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে যাওয়ার পর এই প্রথম অমেঠী যাচ্ছেন রাহুল। সোমবার সন্ধ্যায় কংগ্রেসের নতুন সাংসদদের সঙ্গে দলের ওয়ার রুমে বৈঠকে বসেন রাহুল। সেখানে পি চিদম্বরম, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া হাজির ছিলেন। লোকসভায় কী ভাবে সরকারের মোকাবিলা করতে হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়।

তাতে অবশ্য কংগ্রেসের মধ্যে দিশাহীন অবস্থায় কোনও ইতি পড়েনি। রবিবার নবীন নেতাদের মধ্যে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, মিলিন্দ দেওরা পদত্যাগ করেন। প্রবীণ নেতাদের উপরে পদত্যাগের জন্য চাপ বাড়ছে। কোনও প্রবীণ নেতাকে পরবর্তী সভাপতি করা নিয়ে আলোচনার মধ্যে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ দাবি তুলেছেন, শীর্ষ পদে কোনও তরুণ তুর্কিকে প্রয়োজন। আজ কর্ণ সিংহও সংগঠনের দায়িত্বপূর্ণ পদে তাজা রক্ত আমদানির প্রয়োজনের কথা বলেছেন। তাঁর বক্তব্য, পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সভাপতি নিয়োগ করা হোক। গোটা দেশের চারটি অঞ্চল— উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিমের জন্য চার জন কার্যকরী সভাপতি বা সহ-সভাপতি নিয়োগ করা হোক। কর্ণর যুক্তি, ‘‘এতে দায়িত্বশীল পদে তরুণ ব্যক্তিদের নিয়ে আসা সহজ হবে। বর্তমান অনিশ্চয়তা যত দীর্ঘায়িত হবে, ততই আমাদের কর্মী-সমর্থকেরা হতোদ্যম হয়ে পড়বেন। যথেষ্ট দেরি হওয়ার আগে এই নেতিবাচক চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’’

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন