ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের আগে বিরোধী ঐক্যের অবস্থান স্পষ্ট করে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনে শাসক দল বিজেপিকে পরাস্ত করতে চান রাহুল গাঁধী।
দু’দিনের লন্ডন সফরে যাওয়ার আগে রাহুল দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন যে, প্রয়োজন হলে ওই পদে কংগ্রেস প্রার্থীই দেবে না। অ-বিজেপি, অ-কংগ্রেসি কোনও নেতাকে প্রার্থী করলে কংগ্রেস তাঁকে সমর্থন করতে প্রস্তুত। এ নিয়ে বিরোধী দলগুলির সঙ্গে কথা বলতে দলের দুই নেতা গুলাম নবি আজাদ ও আহমেদ পটেলকে নির্দেশ দিয়েছেন রাহুল।
সর্বসম্মত প্রার্থী কে হবেন, বিরোধী শিবিরে এখনও তা নিয়ে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হয়নি। কোনও কোনও মহলে এ দিন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের নাম নিয়ে চর্চা শুরু হলেও দলীয় নেতৃত্ব জানান, তাঁরা আদৌ প্রার্থী দেওয়ার কথা ভাবেননি। এ নিয়ে কোনও স্তরে আনুষ্ঠানিক আলোচনাও শুরু হয়নি। তবে তৃণমূল চায় বৃহত্তর রাজনৈতিক স্বার্থে বিজেপি পরাস্ত হোক। বিরোধী দলের এক জন সর্বসম্মত প্রার্থী জিতুন।
রাজ্যসভায় বিরোধী পক্ষের সম্মিলিত শক্তি হল ১১৬। তবে কেসিআর কংগ্রেসের বিপক্ষে। নবীন পট্টনায়কের অবস্থানও সংশয়পূর্ণ। কংগ্রেসের প্রার্থীকে সমর্থন করবেন না জগন্মোহন। আবার তৃণমূলের সাংসদ ও তার সঙ্গে নির্দল ঋতব্রতকে ধরলে রাজ্যসভায় মমতার দলের ভোট হল ১৪। তৃণমূল যদি কাউকে প্রার্থী করে কংগ্রেস সেই প্রার্থীকে সমর্থন করতে পারে। সে ক্ষেত্রে মমতার ঠিক করা প্রার্থীকেই কংগ্রেস মেনে নেবে।
আরও পড়ুন: রাহুলকে বেড়িতে বাঁধতে চায় কেন্দ্র?
অন্য দিকে বিজেপি তথা এনডিএর রাজ্যসভায় ভোট হল ১০৮টি। ইতিমধ্যেই সাংসদ ভূপেন্দ্র যাদবকে এনডিএর প্রার্থী করার জন্য আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে বিজেপি জানে সংখ্যার অভাবে তাদের ওই পদটি হারানোর সম্ভাবনা যথেষ্ট। তাই তাদেরও প্রাথমিক লক্ষ্য হল ওই পদের জন্য এমন এক জন প্রার্থী ঠিক করা, যাঁকে বিরোধীরাও মেনে নেবেন।
এই পরিস্থিতিতে বিরোধী ফ্রন্ট যাতে না ভাঙে, কংগ্রেস তার জন্য লোকসভার ধাঁচে একের বিরুদ্ধে এক সূত্র ধরে এগোতে চাইছে। মমতা রাজি না হলে বিজেডি বা অন্য কোনও অ-বিজেপি, অ-কংগ্রেসি দলকে ডেপুটি চেয়ারম্যানের আসন ছেড়ে দিতেও প্রস্তুত কংগ্রেস নেতৃত্ব।