Congress

Gujarat: পাটীদার-অঙ্কে ভোটের প্রস্তুতি শুরু গুজরাতে

এক পাটীদার নেতা বিদায় নেওয়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই কংগ্রেস নেতারা গুজরাতে গিয়ে পাটীদার আন্দোলনের অন্য নেতার দ্বারস্থ হলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২২ ০৭:২৮
Share:

ফাইল ছবি

পাটীদার ভোট ছাড়া গুজরাতের গদি দখল সম্ভব নয়। এক পাটীদার নেতা বিদায় নেওয়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই কংগ্রেস নেতারা গুজরাতে গিয়ে পাটীদার আন্দোলনের অন্য নেতার দ্বারস্থ হলেন। অন্য দিকে নরেন্দ্র মোদী দিল্লি থেকেই পাটীদারদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করলেন। সব মিলিয়ে ঢাকে কাঠি পড়ে গেল গুজরাতের ভোটের।

Advertisement

পাটীদার আন্দোলন থেকে উঠে এসে কংগ্রেসে যোগ দিলেও হার্দিক পটেল বুধবার দল ছেড়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোরেই কংগ্রেস নেতারা রাজকোটে পাটীদার সমাজের নেতা নরেশ পটেলের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন। নরেশ পটেল পাটীদারদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় লেউভা পটেলদের সংস্থা, শ্রী খোদালধাম ট্রাস্টের চেয়ারম্যান। সৌরাষ্ট্র অঞ্চলে নরেশের প্রভাবের জন্য বিজেপি, আম আদমি পার্টিও তাঁকে দলে টানতে চাইছে। এআইসিসি-তে গুজরাতের ভারপ্রাপ্ত নেতা রঘু শর্মা ও গুজরাত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জগদীশ ঠাকোর যখন রাজকোটে নরেশ পটেলের সঙ্গে প্রাতরাশের টেবিলে বৈঠক করছেন, সেই একই সময়ে দিল্লি থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সে কুণ্ডলধাম স্বামীনারায়ণ সম্প্রদায়ের যুব শিবিরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বক্তৃতা দিয়েছেন। পাটীদারদের মধ্যেও স্বামীনারায়ণ সম্প্রদায়ের প্রভাব প্রবল। মোদীও অন্য পথে পাটীদারদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করেছেন। আজ তিনি বলেন, আজকের দিনে সরকারের কাজের ধরন এবং সমাজ সংক্রান্ত চিন্তাভাবনা অনেকটাই বদলেছে। সব মিলিয়ে মানুষের সহযোগিতাও বেড়েছে। মোদীর বক্তব্য, “আজ ভারত স্টার্ট আপ-এর সংখ্যার নিরিখে বিশ্বে তৃতীয়। ভারতের যুবশক্তি তার নেতৃত্বে।” গুজরাতের পাটীদার সম্প্রদায়ের যুবকদের কাছে তাঁর বার্তা, “ভারত আজ বিশ্বকে আলো দেখাচ্ছে। কোভিডের টিকা থেকে প্রাণদায়ী ওষুধ বিশ্বের দরবারে পৌঁছেছে ভারত।”

পাটীদারদের জন্য সংরক্ষণের দাবিতে আন্দোলনের প্রধান মুখ হলেও হার্দিক কড়ভা পটেল সম্প্রদায়ের মানুষ। পাটীদারদের মধ্যে কড়ভা পটেলরা সংখ্যায় কম। প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ ছিল, সংখ্যাগরিষ্ঠ লেউভা পটেলদের নেতা নরেশ কংগ্রেসে যোগ দিলে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে দেওয়া হোক। কংগ্রেস সূত্রের খবর, নরেশ গত সপ্তাহেই কংগ্রেস হাইকমান্ডের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। নরেশ অবশ্য আজ জানিয়েছেন, তিনি এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। আজ হার্দিক সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগ তুলেছেন, কংগ্রেস সব থেকে বড় জাতপাতের রাজনীতি করা দল। পাটীদারদের মধ্যে লেউভা ও কড়ভা সম্প্রদায়ে বিভাজন করাই কংগ্রেসের লক্ষ্য।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন