ভবন নির্মাণ থমকে হাফলং হাসপাতালে

ডিমা হাসাও জেলার এক মাত্র সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র হাফলং সিভিল হাসপাতাল। ১০০ শয্যার ওই সরকারি হাসপাতালই জেলার বাসিন্দাদের এক মাত্র ভরসা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৬ ০৩:২১
Share:

ডিমা হাসাও জেলার এক মাত্র সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র হাফলং সিভিল হাসপাতাল। ১০০ শয্যার ওই সরকারি হাসপাতালই জেলার বাসিন্দাদের এক মাত্র ভরসা।

Advertisement

১৯৭৯ সালে তৈরি হয় হাফলং সরকারি সিভিল হাসপাতাল। সেখানে নতুন আরও ১০০ শয্যার পরিকাঠামো গড়তে দু’দশক আগে দালান নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেই কাজ এখনও শেষ হয়নি। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, নির্মাণকাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলাই তার কারণ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সেখানে চিকিৎসকের কয়েকটি শূন্যপদ রয়েছে। ৪০ জন নার্স ও ১০ জন ওয়ার্ডবয়ের পদও খালি পড়ে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বর্তমানে হাফলং সরকারি হাসপাতালে জেনারেল সার্জন-সহ ২০ জন চিকিৎসক রয়েছেন। তবে ওই হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ খালি পড়ে রয়েছে। অভিযোগ, রাতে খুবই প্রয়োজনে সেখানে কোনও রোগীকে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক বা নার্স খুঁজে পাওয়া যায় না। হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা। হাসপাতালে একটি পুলিশ চৌকি রয়েছে। কিন্তু তাতেও আশঙ্কা যায় না। কয়েক জন রোগী ও তাঁদের পরিজনদের বক্তব্য, হাসপাতালের চারপাশে সমাজবিরোধীদের আনাগোণা রয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, ২০১৩ সালে হাফলং সরকারি হাসপাতালে ৬৫ লক্ষ টাকা খরচে ‘ট্রমা সেন্টার’-এর দালান তৈরি করা হয়। ৬২ লক্ষ টাকায় সে জন্য কেনা হয় ‘হারমনিক স্কেলপেল’ যন্ত্র। কিন্তু ওই যন্ত্র এখনও কোনও কাজে লাগানো হয়নি। ওই ভবনে এখন চলছে ব্লাড ব্যাঙ্ক।

Advertisement

পাশাপাশি মাইবাং প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রের ছবিও এক। ওই চিকিৎসাকেন্দ্রে ১০০ শয্যার পরিকাঠামো গড়তে ১৯৯৬ সালে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। তা মাঝপথে থম্‌কে যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement