বিশ্বভারতীতে সাম্মানিক ভাতা নিয়ে প্রশ্ন সিএজি-র

রিপোর্টের ভিত্তিতে ৮০ জনকে দেওয়া ভাতার টাকা কেন্দ্রকে ফেরত দিতে হতে পারে বলেও সূত্রের খবর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:৫৯
Share:

বিশ্বভারতী। ফাইল চিত্র।

বিশ্বভারতীতে ‘বেআইনি ভাবে’ ১.০৭ কোটি টাকার সাম্মানিক ভাতা দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলল কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল-এর (সিএজি) দফতর।

Advertisement

আজ সংসদে সিএজি-র পেশ করা রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বভারতীর আইনে কোথাও সাম্মানিক ভাতা দেওয়ার সংস্থান নেই। বিশেষ প্রয়োজন হলেও কেন্দ্রীয় সরকারের আগাম অনুমতি প্রয়োজন। তা সত্ত্বেও দেখা যাচ্ছে, ২০১৩ সালের মার্চ থেকে ২০১৭ সালের মার্চের মধ্যে বিশ্বভারতীর ১৬৫ জন শিক্ষক, অফিসারকে ১.০৭ কোটি টাকার সাম্মানিক ভাতা দেওয়া হয়েছে। প্রোক্টর, প্রোভস্ট, বিভিন্ন ভবন ও বিভাগের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, পরীক্ষা নিয়ামক, অধিকর্তা, বিভাগীয় প্রধান, ডেপুটি ডিন, ডেপুটি প্রোক্টর, ওয়ার্ডেনদের প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণে পদ অনুযায়ী সাম্মানিক ভাতা দেওয়া হয়েছে। আইনের বাইরে গিয়ে এই কাজ করা হলেও মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের আগাম অনুমতি নেওয়া হয়নি। রিপোর্টের ভিত্তিতে ৮০ জনকে দেওয়া ভাতার টাকা কেন্দ্রকে ফেরত দিতে হতে পারে বলেও সূত্রের খবর।

বিশ্বভারতী জানিয়েছে, ছাত্রছাত্রীদের জন্য অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করার জন্যই বিশেষ ভাতা হিসেবে এই অর্থ দেওয়া হয়েছে। তবে ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে কিছু ক্ষেত্রে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেন বলেন, ‘‘এই ভাতা দেওয়া আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। আর দেওয়া হচ্ছে না।’’ এই জবাব যুক্তিযুক্ত নয় বলে মনে করছে সিএজি। এ বিষয়ে মন্ত্রকের জবাব চাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের একটি দল বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিশ্বভারতী যাবেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন