Narendra Modi

মোদীর বৈঠকে দক্ষিণেশ্বরের ছবি, বিতর্ক

কূটনৈতিক শিবির অবশ্য উজবেকিস্তানের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে রামকৃষ্ণের কোনও যোগসূত্র দেখতে পাচ্ছে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:০০
Share:

এই ছবি ঘিরেই বিতর্ক। টুইটার

গত কয়েক মাস ধরেই রবীন্দ্র-শরণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজনৈতিক শিবিরের মূল্যায়ন, পশ্চিমবঙ্গের ভোট যত এগিয়ে আসছে, অহরহ বাংলার মনীষীদের উল্লেখ ও উদ্ধৃত করতে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতাদের। তবে আজ কিছুটা অভিনব ভাবেই দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক বৈঠকের মধ্যে চলে এল দক্ষিণেশ্বরের কালীবাড়ির ছবি। উজ়বেকিস্তানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আজ ভিডিয়ো বৈঠক করলেন মোদী। তাঁর পিছনে পর্দায় আগাগোড়া দেখা গেল দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরের ছবি।

Advertisement

কূটনৈতিক শিবির অবশ্য উজবেকিস্তানের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে রামকৃষ্ণের কোনও যোগসূত্র দেখতে পাচ্ছে না। সাধারণ ভাবে রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠকে (যে ধরনের বৈঠকের রেওয়াজ শুরু হয়েছে অতিমারির পরে) সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রনেতাদের পিছনে থাকে জাতীয় পতাকার ছবি। বিদেশ মন্ত্রকের সাংবাদিক সম্মেলনেও এমনটাই দস্তুর। কিন্তু সেই ঐতিহ্য আজ ভেঙে দিলেন মোদী। প্রশ্ন উঠছে, পশ্চিমবঙ্গের ভোট কি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল প্রধানমন্ত্রীর কাছে যে তিনি যে মঞ্চই পাচ্ছেন সেখান থেকেই বাংলাকে তুলে ধরছেন? আত্মনির্ভর ভারতের ক্ষেত্রে ঋষি অরবিন্দ, স্বদেশি পণ্যের প্রতি নির্ভরতার প্রশ্নে কবি মনমোহন বসু, ভারতমাতার আরাধনায় স্বামী বিবেকানন্দ এবং যত্রতত্র রবীন্দ্রনাথের উল্লেখ মোদীর মুখে শোনা যাচ্ছে। এ বারে সেই তালিকায় যুক্ত হল বাঙালির আবেগ এবং ভক্তির দক্ষিণেশ্বরও।

আরও পড়ুন: ক্ষমতা থাকলেও ব্যাখ্যাতেই রাজনীতি

Advertisement

আরও পড়ুন: ভারত মহাসাগরে মোতায়েন ১২০ যুদ্ধজাহাজ, জানালেন জেনারেল রাওয়ত

দমদমের সাংসদ তথা তৃণমূল নেতা সৌগত রায় অবশ্য গোটা ঘটনাকে ‘হাস্যকর’ বলে বর্ণনা করেছেন। তাঁর কথায়, “দক্ষিণেশ্বর সবার শ্রদ্ধার জায়গা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যেটা করছেন সেটা হাস্যকর। বাংলার নির্বাচনকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিতে গিয়ে তিনি রাষ্ট্রীয় প্রোটোকলটাও ভুলে যাচ্ছেন। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে রাষ্ট্রনেতার পিছনে দেশের পতাকা থাকাটাই রেওয়াজ।” সৌগতবাবুর কথায়, “এ সব করে কিছু হবে না। পশ্চিমবঙ্গের ভোটের লড়াইটা বাঙালি বনাম বাহারিদের মধ্যে। বাহারি অর্থাৎ বহিরাগতদের কোনও জায়গা এখানে নেই। প্রধানমন্ত্রী মরিয়া চেষ্টা করতে গিয়ে কাণ্ডজ্ঞান হারাচ্ছেন।” দক্ষিণেশ্বরের মেয়ে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় অবশ্য জানাচ্ছেন তিনি গর্বিত। তাঁর কথায়, “ভারত-উজ়বেকিস্তান বৈঠকে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের ছবি এবং ভবতারিণী মন্দিরের ছবি দেখতে পেয়ে এক জন বাঙলি হিসেবে গর্বিত। বাঙালির ঐতিহ্যকে এই জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement